ছবি : সংগৃহিত
শিক্ষা
আমরণ অনশনে শিক্ষকরা

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ছাড়া স্কুলে নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন: হাওর থেকে আটক ৩৪ শিক্ষার্থী কারাগারে

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ২১ দিন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা।

চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেছেন, জাতীয়করণ শিক্ষকদের আজকের দাবি নয়।

আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি তুলে ধরতে।

আরও পড়ুন: রংপুরে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে স্বারকলিপি

শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এটি আমাদের রুটি-রুজির বিষয়। আজ আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে রাজপথেই মারা যাব। তবুও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ছাড়া আমরা স্কুলে ফিরে যাব না।

শিক্ষকরা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ডাকে গত ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে গত ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষক ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন: বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৩৪

শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বলেছিলেন, এ বিষয়ে (জাতীয়করণ) আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই।

জাতীয়করণের যৌক্তিকতা আছে কি নেই, সেটাসহ শিক্ষা ও শিক্ষকদের সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি জানিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সঠিক জায়গায় আনতে চাচ্ছি

এদিকে, জাতীয়করণের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে গত ২৭ ও ২৮ জুলাই গাজীপুরে একটি কর্মশালার আয়োজন করলেও আন্দোলনকারী শিক্ষকনেতারা তাতে যোগ দেননি।

অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ও শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত সপ্তাহে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের পেছনে অবশ্যই উসকানি আছে।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান

যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে। শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়ে আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলেন, আমরা কারো উসকানিতে এখানে আসিনি। মূলত, শিক্ষামন্ত্রীর একেক সময়ের একেক বক্তব্য আমাদের উসকে দিচ্ছে৷

এ কারণে আমাদের এখানে অবস্থান করতে হচ্ছে। যতই হুমকি আসুক, আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরব না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার

শিক্ষকরা একাধিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলনে:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে একাধিক নির্দেশনা দেয় শিক্ষা বোর্ড ও অধিদপ্তর।

গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় অনুপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাপারে গভর্নিং বডি ও প্রধান শিক্ষককে কঠোর হতে বলা হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় গত ২৬ জুলাই বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীন স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিয়মিত ক্লাস এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোরভাবে নজরদারি করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: এসএসসিতে পাসের হার ৮০.৩৯

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’।

এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সব দায় সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের ওপর বর্তাবে। এ ব্যাপারে সবার একান্ত সহযোগিতা কাম্য।

আরও পড়ুন: বৈষম্য দূর না করা পর্যন্ত স্কুলে যাবো না

প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিতে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এমনকি, মাউশি দৈনিক অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনাও দিয়েছে। তবে, সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

ডেঙ্গুতে বিশ্বে ৪০ হাজার মৃত্যুর আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডেঙ্গু রোগে...

গোটা দেশকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির অঙ্গ ও...

নারী আম্পায়ারের সমালোচনায় সুজন

স্পোর্টস ডেস্ক: চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ড...

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাত, নিহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে টর্নেড...

বাস-মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা