মুঠোফোনে ডেকে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা!
অপরাধ

মুঠোফোনে ডেকে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস রোধে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সরকার চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।

সরকারি আদেশ অমান্য ও স্থানীয় প্রশাসন বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া গিন্নি দেবী আগরওয়াল মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জোর করে ডেকে এনে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত বুধবার (১২ আগস্ট ২০) সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এইচএসসি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য কলেজ প্রাঙ্গণে ভীড় জমাতে থাকে। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা করছে। অনেক শিক্ষার্থী মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না। শরীর ঘেঁষে চলাফেরা করছে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গল্প করছে, আড্ডা দিচ্ছে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ শিক্ষাবর্ষের অধ্যয়নরত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুত করার জন্য মেধা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাই পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার সময় তারিখ জানানো হয় এবং মেধা যাচাই পরিক্ষার জন্য মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা ১০ আগস্ট, ব্যবসা শাখা শিক্ষার্থীরা ১১ মার্চ ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা ১২ আগস্ট কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার যেখানে সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কলেজে এসে প্রবেশপত্র নেওয়ার জন্য কলেজে আসতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র না নিলে বা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে পরে ঝামেলা করতে পারে তাই প্রবেশপত্র নিতে এসেছি। আর পরীক্ষার ফি হিসেবে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৭ শ, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার জন্য ৫শ টাকা নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল হক বাবু জানান, কলেজের প্রিন্সিপাল আমাকে এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। তিনি তার মত করে কলেজ পরিচালনা করেন কাউকে তোয়াক্কা করেন না। তবে আমি শুনেছি উপবৃত্তির মেধা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মোঃ আলাউদ্দীন আল আজাদ বলেন, আমি এই প্রথম শুনলাম শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে ডেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। কলেজ প্রিন্সিপাল শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে ডেকে পরীক্ষা নিয়েছে। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বলেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নুর কুতুবুল আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে এই ধরনের কার্যক্রম করার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেহেতু কোন কলেজ শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে পরীক্ষা নিতে পারবে না, তবে অনলাইনে অথবা বাসায় পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিক হত্যাকান্ডের বিচার কর - বাসদ

নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিক হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্...

লক্ষীপুর পৌরসভায় মাসিক ৬৫ লাখ টাকা উদ্বৃত্তের পরও ঋণ ২৬ কোটি টাকা: প্রশাসক জসিম

লক্ষ্মীপুর পৌরসভা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পৌরসভায় নিয়মের কোন বালাই ছিল...

বাকৃবি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান অস্থিরতার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর...

ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আর ৮ দিন বাকি আছে।...

বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয়

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে বিএনপি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা