জেলা প্রতিনিধি: আজ গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় দিনের আম বয়ান চলছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিজের ইমান, আমল ও আখলাককে পরিপূর্ণরূপে গড়ে তুলতে বয়ান শুনছেন আলেম ও মুরুব্বিরা।
আরও পড়ুন: ফের ঢাকা বায়ুদূষণের শীর্ষে
ইজতেমা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে হেদায়েতি বয়ান হবে। আজ বাদ আসর ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তাবলীগ-জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বিদের পরামর্শে বিশ্ব তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষ মুরুব্বি বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে।
আজ আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে আয়োজকদের ধারণা। ইজতেমার প্রথম পর্বে ইতিমধ্যেই শিল্প নগরী টঙ্গী ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। সকালেই টঙ্গী শহর, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুঘটনায় ২ নারী শ্রমিকের মৃত্যু
তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। আজও টঙ্গী অভিমুখী বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ছিল মানুষের ভিড়। আগামীকাল আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
ধুলা, ময়লা, শীত, বৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতা উপক্ষো করে সবারই আলেমদের মনোযোগ বয়ানের দিকে। ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখিরত।
ফজরের নামাজের পর থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম বিভিন্ন ভাষায় বয়ান চলছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর বয়ান করছেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট আলেমগণ।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ ২ চোরাকারবারি আটক
মুসল্লিরা মনোনিবেশ করে ঈমান, আখলাক ও দ্বীনের বয়ান শুনছেন। ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন বাদ ফজর থেকে তুরাগ তীরে ইজতেমা মাঠে লাখ-লাখ মুসল্লির উদ্দেশ্যে চলে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান।
প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনে বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।
বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা, বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৩
সকালে বয়ানে ওলামায়ে কেরাম বলেন, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য প্রত্যককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না।
দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। এ মেহনত খুলুসিয়াত ও আজমতের সাথে যারা করবে, তাদের যেকোন আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।
মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
সান নিউজ/এনজে