নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি পানি জমেছে ফ্লাইওভারেও।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৬ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
গতকাল রাত থেকে আজ রোববার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ডুবে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরী।
আজ সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর বহদ্দার হাট, চক বাজার, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, জিইসি, ওয়াসা, আগ্রাবাদসহ নগরীর প্রায় সব এলাকাতেই কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও আবার কোমর পানি।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল ভারত-পাকিস্তান
এ দিন সরেজমিনে দেখা গেছে, অফিসগামী যাত্রীরা সকালে বাসা থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
নগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মুরাদপুর এলাকায় আধা ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি। এখানে প্রধান সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে ট্রলারডুবি, নিহত ৮
কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। পানি ডিঙিয়ে অফিস যাওয়ার কোনো রাস্তা মিলছে না।
নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা আজমত উল্লাহ জানান, টানা বৃষ্টিতে পুরো এলাকা পানিতে ডুবে রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ সরিয়ে নিতে কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ ঢাকার অষ্টম
চট্টগ্রাম মহানগরে ৬ টি সার্কেলের মাধ্যমে ভাগ করে পাহাড় রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। পাশাপাশি প্রতিদিন মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও এনডিসি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, গত ২ দিন ধরে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড় ধসে যাতে মানুষকে আর প্রাণ না দিতে হয়, সেজন্যে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া মাইকিং থেকে শুরু করে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যা-ভূমিধস, নিহত বেড়ে ৩০
তিনি আরও জানান, শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতি বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সান নিউজ/এনজে