সান নিউজ ডেস্ক : নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও থেকে ৩২ জঙ্গির নাম-পরিচয় পায় র্যাব-৮, এদের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি বরিশাল বিভাগে।
আরও পড়ুন: বিডার ভবনটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (৪ জানুয়ারি) র্যাব-৮ এর অধিনায়ক এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনাক্তকৃত ১২ জন হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাবাজ এলাকার বাসিন্দা রাক্কী আব্দুস সালাম ওরফে দুমচুক ওরফে রাসেল (২৮), সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামের ঝড়ঝড়িয়াতলা এলাকার মো. আরিফুর রহমান ওরফে লাইলেন (২৬), বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশীবপুরের ভবানীপুর গ্রামের মো. মাহমুদ ডাকুয়া ওরফে হাকা (২০), পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি গ্রামের আল আমিন ফকির ওরফে মোস্তাক (১৯), মিরাজ শিকদার ওরফে আশরাফ (২৬), পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মধ্য গছানিয়া গ্রামের শামীম মিয়া ওরফে আবু হুরায়রা ওরফে রাফি ওরফে চামদুর (২৫), একই থানার উত্তর লক্ষ্মীপুর দফিপুর গ্রামের হোসাইন আহমদ ওরফে রেকমি ওরফে প্যাদা (২১), মহিপুর থানাীন মহিপুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ সাকিব ওরফে শান্ত (২০), মির্জাগঞ্জ থানাধীন সুবিধখালী গ্রামের জুয়েল মাহমুদ (২৭), বরগুনা সদর উপজেলার বুরা মজুমদার এলাকার সোহেল মোল্লা ওরফে সাইফুল্লাহ (২২), ঝালকাঠি জেলা সদর থানার বাউকাঠি কালিকান্দা এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে মুরা (২৩), নলছিটি উপজেলার নাচনমহল গ্রামের মিলন তালুকদার ওরফে লামজল।
র্যাব-৮ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান রনবীকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইলে অস্ত্র প্রশিক্ষণের কিছু ভিডিও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩২ জঙ্গির পরিচয় পেয়েছে র্যাব। তাদের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি বরিশাল বিভাগে। আরও ২৫ জনের তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। এই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হলে প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও জানান, ‘শনাক্ত হওয়া জঙ্গিদের একটি বড় অংশের বাড়ি বরিশাল বিভাগে হলেও এই অঞ্চলে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার কোনো গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তাদের লক্ষ্য ছিল ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করার। এছাড়া বরিশাল অঞ্চলের শনাক্ত জঙ্গিদেরকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি। এরা কার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনে পৌঁছালো এবং কারা এদের অর্থ সরবরাহকারী তাদের শনাক্তে কাজ চলছে। জঙ্গি সংগঠনে সম্পৃক্তদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি। জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা অনেক দিন আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল। তাদের পরিবারের অনেকেই থানায় জিডি করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ইস্টার্ন রিফাইনারির খরচ দাঁড়াবে ২৩ হাজার কোটি
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যায় জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন তারা। কেউই সংঘবদ্ধভাবে যাননি। এদের মধ্যে কেউ লেখাপড়া করতেন, কেউ ব্যবসা বা চাকরি করতেন। মূলত করোনাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে এই জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পান অভিযুক্তরা।
সান নিউজ/এনজে/এসআই