এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: খানা-খন্দে ভরা ঝালকাঠি-মানপাশা-গগনহাট-বরিশাল সড়কে এখন জন দুর্ভোগ চরমে। প্রায় দুই বছর ধরেই এমন গুরুত্বপুর্ণ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা ও গর্ত রয়েছে। সড়ক জুড়েই রয়েছে উচু-নিচু টিবি। ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এ সড়কের পাশের গ্রামগুলো কৃষি সমৃদ্ধ হওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ থাকায় স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কুবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ঝালকাঠি শহর থেকে মানপাশা হয়ে বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পার হয়ে বরিশাল দিয়ে উত্তরাঞ্চলে যাবার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন খানা-খন্দে ভরা। স্থানীয় সরকার ১৩.৭ কিলোমিটারের এ সড়কটির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নথিপত্রে নাম ঝালকাঠি-গগনহাট সড়ক। বাইপাস সড়কের পাশাপাশি এ সড়ক থেকে বরিশাল যাওয়ার যায় একমাত্র বিকল্প সড়ক। কিন্তু এই সড়কের মানপাশা থেকে বিনয়কাঠি পযর্ন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের আশেপাশের কৃষি সমৃদ্ধ গ্রামগুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন কৃষিপণ্য শহরে সরবারহ করা হয় এ সড়ক থেকেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙ্গা রাস্তা দিয়েই শহরে যাতায়াত করে। এছাড়া রোগীদের আরও সমস্যা হয় খানা-খন্দ ও গর্তে ভরা সড়কটিতে।
বিশেষ করে এ সড়ক থেকে সিজারিয়ান রোগীদের শহরে নেয়া যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণ বলে জানান স্থানীয়রা। এ সড়কে চলাচলরত অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল চালকরা জানান, প্রায়ই তাদের গাড়ির যন্ত্রাংশ রাস্তার ঝাঁকুনিতে বিকল হয়ে যায়। তাই এ এলাকার যাত্রী ও চালকরা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন জানান, মূল সড়কটির ভাঙ্গা অংশ ৩.৬৬ কিলোমিটার মেরামতের জন্য ২ কোটি ৪০ টাকার ষ্টেমেট (প্রাক্কলন) পাঠানো হয়েছে। রক্ষানাবেক্ষন ইউনিটি পাঠানো এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলেই এ সড়কে কাজ শুরু করা হবে।
সান নিউজ/কেএমএল