সারাদেশ

একটি সড়ক পাল্টে দিতে পারে পদ্মা পাড়ের জীবন 

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : একটি সড়কই পদ্মা পাড়ের জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিতে পারে। মুন্সীগঞ্জ সদরের চরশিলই, বাংলাবাজার, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড়, হাসাইল-বানারী, লৌহজংয়ের তেউটিয়া চরঞ্চলে বেশ কয়েক হাজার লোকের বসবাস। ভাঙন কবলিত এলাকা বিধায় লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি ও সদরের এই গ্রামগুলোর মানুষের চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্যানিটেশনের চরম সংকট দেখা গেছে।

সদরের চরশিলই, ভূ-কৈলাশ এলাকা। টঙ্গীবাড়ির দিঘীরপাড়, সরিষাবন, বাহেরক, কান্দাবাড়ি, ধানকোড়া, বিধইল, বানারী। লৌহজংয়ের রাতগাঁও, তেউটিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এসকল চরাঞ্চলের প্রধান সমস্যা হলো যোগাযোগ। দিঘীরপাড় বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার শাখা নদীর দক্ষিণ তীর হতে রাজাবাড়ি চর পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ হলে কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্হা সহজ হতো।

সরিষাবন, ধানকোড়া, দিঘীরপাড় নিয়ে, দিঘীরপাড় ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে প্রায় ৭ হাজার লোকের বাস। সদরের শিলই ও ভূ-কৈলাশ চরশিলই পযর্ন্ত একটি সড়ক অতি প্রয়োজন।

মাষ্টার জয়নাল আবেদীন বলেন, নদী ভাঙন এলাকা হওয়ায় চরাঞ্চলে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ভাগনের আগে এখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল এখন নেই। যদিও বিশাল ভূ-খণ্ডে নিয়ে চরটি ১৯৯০ সালে জেগে ওঠেছে। এখানে সড়ক আছে নামে মাত্র। সড়কটি একাধিক জায়গায় বর্ষার সময় মাটি সড়ে গিয়েছে। মেরামতের কোন হদিস নেই। নেই এ এলাকায় ভালো সেনিটেশন ব্যবস্হা।

আফজাল হক বলেন, এই চরটি অনেক বড় ও বিশাল। মুন্সীগঞ্জের ৩টি থানা আর শরীয়তপুরের ২টি থানার অংশ। মূল পদ্মার উত্তর পাড় হতে দিঘীরপাড় পর্যন্ত একটা ভালো সড়ক হলে এখানকার অবহেলিত মানুষ গুলোর উপকার হতো। এখানে হাজার হাজার টন আলু ফলে। আরও মটর শুটি, ফুলকপি, বাদাম, শসা ও ক্ষিরাই জম্মে। মাথায় করে বহন ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।

জায়েদা বেগম তেউটিয়া চরের বাসিন্দা তিনি বলেন, তিনবার ভাঙছে আবার চর জাগছে। কিন্তু এখানে কোন রাস্তা নাই। এই চরগুলোতে অসংখ্য খোলা পায়খানা। যোগাযোগ ব্যবস্হা ভালো না। নেই কোন চিকিৎসা কেন্দ্র। শিশু ও গর্ববতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

চরাঞ্চলের স্হানীয় লোকজনের প্রাণের একটাই দাবি হলো একটি মানসম্পন্ন সড়ক। সদরের শিলই ও বাংলাবাজার হয়ে ভূ-কৈলাশ পর্যন্ত। দিঘীরপাড় বাজারের দক্ষিণ পাশ হতে বাহেরক, গুচ্ছ গ্রাম হয়ে রাজাবাড়ি চর পর্যন্ত। এদিকে হাসাই হতে বিধইল পর্যন্ত একটি সড়ক হলে চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য ও জীবন যাত্রারমান উন্নত হবে।

এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন জানান, পদ্মার ভাঙন কবলিত চরাঞ্চলে অনেক গুলো প্রকল্প দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু কাজ শেষ হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে হাসাইল বানারীতে সড়ক নির্মাণ হবে। পর্যায়ক্রমে সকল চরাঞ্চলে সড়ক ব্যবস্হার আওতায় আনা হবে।


সান নিউজ/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পান্নার গণসংযোগ

রাজীব চৌধুরী, কেশবপুর : আসন্ন কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে...

বোয়ালমারীতে স্বর্ণের কারিগরকে কুপিয়ে জখম

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে...

বজ্রপাতের সময় করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক: চলমান তাপপ্রবাহ...

নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ৩ জন গ্রেফতার 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কানাডায় বসবাসর...

মৃত্যু থেকে বাঁচলেন দেব

বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা দীপক অধিকারী দেব। ভার...

কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রকাশ...

ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন 

বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: ফরিদপুরে রেল...

পাবনায় আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালিত

পাবনা প্রতিনিধি: ‘জলবায়ু স...

অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি সফরে অস্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা