বাগেরহাটে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা সাড়ে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। বুধবার (১৪ মে) সকাল থেকে বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়কের দড়াটানা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে সওজ খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব পিযুষ চন্দ্র দের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়।
এ সময় বাগেরহাট অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাসহ সওজের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকালে দড়াটানা নদীর টোলপ্লাজার দক্ষিনপাশ, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের দুই পাশ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিপরীত পাশ, দশানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশে থাকা অবৈধভাবে করা পাকা, আধাপাকা ও টোং ঘর উচ্ছেদ করা হয়। সড়ক বিভাগের বুলডোজার দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই শতাধিক স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযান চলবে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত।
দুই দিনে বাগেরহাটের নওয়াপাড়া মোড় থেকে মহিষপুরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়কের পাশে থাকা সাড়ে পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানান সওজ বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের অনেক জায়গা দখল করে পৌরসভা দোকান ঘর নির্মান করে বরাদ্ধ দিয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু যায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে পাকা-আধাপাকা স্থাপনা নির্মান করেছে। আবার অনেকে টোং ঘর তৈরি করে দোকান দিয়েছেন। আমরা সব অবৈধ স্থাপনাই উদ্ধার করব। আজকে সারাদিনে আমরা দুই শতাধিক স্থাপনা উদ্ধার করেছি। আগামীকালও এই অভিযান চলবে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সওজ খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব পিযুষ চন্দ্র দে বলেন, অভিযানের আগে সড়কের জায়গার সীমানা নির্ধারণ, মাইকিং করে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অবৈধ স্থাপনাকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেননি, তাদের স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে না পারে এজন্য মনিটরিং করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সাননিউজ/ইউকে