গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: কয়েক দিনের টানা প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র,যমুনা, তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়াসহ জেলার ১১টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে পড়েছে। নদ-নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চরের ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, উত্তর উড়িয়া ও জিগাবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, মধ্য খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, তালতলা, কাউয়াবাধা ও নিশ্চিন্তপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনারচর ও জিয়াডাঙ্গা চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে এসব এলাকার প্রায় ১৫০টি পরিবার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম বলেন, উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারারচর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া চরে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার হরিপুর,তারাপুর শ্রীপুর, বেলকা ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশত পরিবার।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আপাতত পানি কমার সম্ভাবনা নেই। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু জায়গা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এনকে