সান নিউজ ডেস্ক: নতুন অর্থবছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অধীনে উপবৃত্তি পাবেন। বৃত্তির জন্য বিবেচিত একেকজন শিক্ষার্থী কোর্স সম্পন্ন করা পর্যন্ত বছরে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করতে চাই
বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পান। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে উপবৃত্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনেও উপবৃত্তি দেওয়া হয় কিছু শিক্ষার্থীকে।
স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তের মধ্যে আছে—নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। শ্রেণিকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর বা জিপিএ–৩.৭৫ অথবা ৪–এর স্কেলে ৩ পেতে হবে। বাবা–মা বা অভিভাবকের আয় বছরে ২ লাখ টাকার কম হতে হবে।
আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন
এছাড়াও সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তান উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, এতিম, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা তাদের সন্তানের সন্তান, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থ পরিবারের সন্তান অগ্রাধিকার পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখন উপবৃত্তি দেওয়ার কাজটি অনলাইনে করা হয়। তাই ডেটাবেজের প্রয়োজন আছে। দু-একটি ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ডেটাবেজ নেই। এ স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করে উপবৃত্তি দেওয়া হবে।
সান নিউজ/আর