গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জোর করে মাছ ধরার সময় বাঁধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে মহিলাসহ ২ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : নারীর সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে চাইলেন মেম্বার
জানা যায়,সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হুরাভায়াখাঁ গ্রামের আব্দুস সালাম মন্ডলের পুত্রের ওয়ালিউল ইসলামের সাথে একই গ্রামের ফরহাদ মন্ডল গং-দের জমি নিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলার এক পর্যায়ে গত ২০০৯ সালের মার্চ মাসের ১১ তারিখে বিজ্ঞ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ১৬৯৪/১০, ১৬৫৯/১০ ও ১৬৯৬/১০ নং সিভিল রিভিশন দায়ের করা হয়। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ শুনানি শেষে উল্লেখিত ৩টি আপিল মামলা পুনঃরায় বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে নথি প্রেরণ করেন। যাহা বিচারাধীন আছে।
বিরোধপূর্ণ জমিতে ও পুকুরে যেন শান্তি ভঙ্গ না হয় সে লক্ষ্যে আব্দুস সালাম মন্ডলের পুত্রে ওয়ালিউল ইসলাম বাদী হয়ে ২০২১ সালে গাইবান্ধায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফরহাদ মন্ডল, মুরাদ মন্ডলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নং ৪৩৮/২০২১ ।
আরও পড়ুন : স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে কবরস্থানে ধর্ষণ!
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে নালিশি সম্পত্তি নিয়ে ৩টি সিভিল রিভিশন মামলা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে বিচারের জন্য চলমান থাকায় নালিশি জমিতে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ দখলকৃত জমিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে দখল ভোগ করার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ৮ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ফরহাদ মন্ডলের লোকজন আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ওয়ালিউল ইসলাম ও সহিদার রহমান এর ৫২শতক পুকুর থেকে জোর পূর্বক জাল দিয়ে ১৫/১৬ মণ বিভিন্ন জাতের মাছ ধরে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : মনোনয়নপত্র বৈধ বলার সুযোগ নেই
এ সময় ওয়ালিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বাঁধা দিতে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আঞ্জুয়ারা ও ওয়ালিউল ইসলামকে মারপিট করে। এতে আঞ্জুয়ারা মারাত্মক ভাবে আহত হন। পরে তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন