বাংলার আদি রাজধানী এবং মসলিন শাড়ির জন্য বিখ্যাত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ। এর পাশাপাশি এখন লিচুর জন্যও বিখ্যাত বলা হয়ে থাকে সোনারগাঁ তথা নারায়ণগঞ্জকে।
প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে রয়েছে শত শত লিচুর বাগান। এখানকার লিচুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- আগাম ফলন, রসালো, সুমিষ্ট স্বাদ এবং অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশ আগেই এই লিচু বাজারে পাওয়া যায়।
বেশ কিছু বাগানের লিচু বিক্রয় উপযোগী হওয়ায় বাগান থেকে লিচু তুলে বাছাই করে আড়তের মাধ্যমে বাজারজাত করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানীরা। বাগান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার লিচুর ফলন ভাল হওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে। সোনারগাঁয়ে অর্ধশতাধিক গ্রামে প্রায় ১০৭ হেক্টর জমিতে ৬৬০ টি লিচু বাগান গড়ে উঠেছে। এখানকার কদমী, চায়না থ্রি, এলাচি এবং বোম্বাই জাতের লিচুর চাহিদা সবচেয়ে বেশী। এসব বাগানের লিচু পাইকারী দরে আট থেকে নয় কোটি টাকায় বিক্রির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছেন বাগান মালিকরা।
পর্তুগীজ আমলে সোনারগাঁয়ে লিচু চাষের গোড়াপত্তন হলেও মূলত নব্বইয়ের দশকে বানিজ্যিকভাবে লিচু চাষের ব্যাপক প্রসার লাভ করে। শুরুতে পানাম ও আদমপুরে লিচু চাষ হলেও পর্যায়ক্রমে ষোলপাড়া, দরপত, সনমান্দী, গোয়ালদী, বৈদ্যেরবাজার, ভট্রপুর, গাবতলী, দিঘীড়পাড়, মোগরাপাড়াসহ আশপাশের প্রায় ৫০ টি গ্রামে লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে। লিচুর ব্যবসা বেশ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই এখানে লিচুর নতুন নতুন বাগান বিস্তৃত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, এবছর সোনারগাঁয়ে ১০৭ হেক্টর জমিতে প্রায় ৭২০ টন লিচু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও খরার কারণে অনেক লিচু ঝরে পরেছে, তারপরও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরের ফলন বেশ ভাল হয়েছে।
সাননিউজ/ইউকে