সারাদেশ

রাজবাড়ীতে পদ্মার পেটে বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, মাগুরা: বর্ষার শেষে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই রাজবাড়ী সদরের গোদার বাজার ও চরসিলিমপুর এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে বালু ভর্তি ৫০ হাজার জিওব্যাগ ফেলে শত চেষ্টা করেও পদ্মার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা গেল না রাজবাড়ীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে চরসিলিমপুর বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিল। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড তখন থেকে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রক্ষার কাজ করছিল। কিন্তু এরই মধেই ভেঙে গেছে রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। শুক্রবার দুপুরে পদ্মার ঘূর্ণায়মান স্রোতের টানে ওই স্কুলের চার রুম বিশিষ্ট পাকা একতলা ভবনটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে একই সাথে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিদ্যালয়টিসহ ঐ এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি। এর আগেও গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই এলাকায় প্রথম নদী ভাঙন শুরু হয়। তখন স্থাপনা ও ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি ব্লক দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে হঠাৎ করে বিদ্যালয় সংলগ্ন পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়। এতে সিসি ব্লকের প্রায় ৪০-৫০ মিটার ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আর হঠাৎ করে সিসি ব্লক ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় চরম হুমকিতে পড়েছে বিদ্যালয়টিসহ মসজিদ ও প্রায় অর্ধশত বসতভিটা। ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপদ একটি টিনশেডে পাঠদান সম্পন্ন করছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে গেলে শ্রেণিকক্ষের চরম সংকটে ভুগবে বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে স্কুলের কাছে চলে এসেছে। স্কুলটি রক্ষার জন্য যে সিসি ব্লক ফেলানো হয়েছে, সেই ব্লকের একটু দূরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে স্কুলের পাশটিও ভেঙে যেতে পারে। তাই আমরা ভয়ে কেউ ক্লাসে ঢুকি না।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর বিদ্যালয়ের মূল ভবনেই পাঠদান করাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে স্কুলের পাশেই সিসি ব্লক ভেঙে নদীতে চলে যাওয়ার পর থেকে আর ওখানে পাঠদান করাচ্ছি না। কারণ মূল ভবনটি এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাশের টিনশেডে ক্লাস নিচ্ছি।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি কমার কারণে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে দ্রুতগতিতে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। স্কুলসহ গ্রামটি রক্ষার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।


সাননিউজ/ জেআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সাংবাদিকতায় সেরাদের অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে ডিএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জুন মাসে...

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

নোয়াখালীর প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদ...

পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিচ্ছেন 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্র...

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার

স্পোর্টস ডেস্ক: সব জল্পনা-কল্পনার...

কনডেম সেল নিয়ে রায়, আপিলের সিদ্ধান্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফাঁসির আসামিদের...

ক্ষুব্ধ হয়ে মার্কিন সেনার পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ ৭ মাসেরও...

ঢাকায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২ দিনের সফরে ঢা...

দোহারে নদীতে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দোহারে...

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ৩৬ জন 

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা