নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী : সূর্য্যেদয় ও সুর্যাস্ত দেখার নতুন দিগন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিনোদনের তীর্থস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নতুন বছরের প্রথম দিনে উপচে পড়া ভিড় ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সৈকতে মানুষের পদচারণা বাড়তে থাকে। করোনা সতর্কতা ও প্রশাসনিক কড়াকড়ির মধ্যেও নতুন বছরকে বরণ করতে সৈকতে এসেছেন পর্যটকরা।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় পর্যটক বেশি। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী এবং শুটকি পল্লীসহ দর্শনীয় স্পটে রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি থাকবে নতুন বছরের প্রথম দুইদিন।
কুয়াকাটায় ১৫০টির মতো আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে যেসব পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছেন, তাদের জন্য হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ কক্ষ ভাড়ায় এবার বড় অঙ্কের ছাড় দিয়েছেন। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সৈকতের বালুচরে পর্যটকরা আতশবাজি ও ক্যাম্প ফায়ার করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলেন সৈকত। তবে রাতের বেলা আলোর ব্যবস্থা না থাকা, ফটো-শিকারি ও মোটরসাইকেল চালকদের উৎপাতে কিছুটা ত্যক্ত-বিরক্ত ছিলেন পর্যটকরা।
পর্যটকরা বলেন, বছরের শেষ দিনটাতে সাগরের বিশাল জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে পুরনোকে বিদায় জানাতে এসেছি। প্রার্থনা করলাম যেন করোনাকাল কেটে যায়। বিপর্যস্ত পৃথিবী প্রাণ ফিরে পায়। প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসুক। বাসযোগ্য পৃথিবীটা হোক অনিন্দ্যসুন্দর।
ট্যুর অপারেটারস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে। নতুন বছর উপলক্ষে গত দুই দিন ধরে পর্যটকদের আগমন বেড়ে গেছে। কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এএসপি এম.এম মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
সান নিউজ/এসএ