নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আরও ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে।
অন্যদিকে এর আগে ৪ দফায় ১৮৫ প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমোতি দেয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা ১ থেকে ৫ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ১ থেকে ১০ হাজার টন পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পার্মিট) ইস্যু করা যাবে না বলেও শর্ত দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ১০ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ৪ জানুয়ারি আরও ১৯ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।
গত ৬ জানুয়ারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন এবং রোববার (১০ জানুয়ারি) ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চাল আমদানি অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া সরকারিভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন, জিটুজি পদ্ধতিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করা হবে বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/আরআই