করোনায় ৫০.৫% শ্রম শিশু করেছে পেশা পরিবর্তন
বাণিজ্য
এএসডির জরিপ

করোনায় ৫০.৫% শ্রম শিশুর পেশা পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে শ্রমজীবি শিশু ও তাদের পরিবার।

রাজধানীর কমলাপুর, মুগধা, ভাষাণটেক ও মোহাম্মদপুর এই চারটি এলাকায় দৈব চয়নের ভিত্তিতে ২৪০ জন শ্রমজীবি শিশুর উপর করা জরিপে দেখা গেছে, করোনার কারণে আয় রোজগার কমে যাওয়ায় পেশা পরিবর্তন করেছে ৫০.৫ শতাংশ শিশু।

এদের মধ্যে অনেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। যা ঢাকা শহরে দৃশ্যমান।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট- এএসডি’র উদ্যোগে পরিচালিত ‘কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ঢাকায় কর্মরত শ্রমজীবি শিশুদের অবস্থা যাচাই’ শীর্ষক এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। ৩০ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করা হয়।

জরিপে দেখা গেছে, করোনার বিরূপ পরিস্থিতিতে ঢাকায় শ্রমজীবি শিশুদের ৮৬.৬ শতাংশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব শিশু আগে কাজ করতো তাদের ৩৬.৬ শতাংশ বলছে, বর্তমানে তাদের কোনো কাজ নেই। করোনার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা ক্রেতা না থাকায় বিক্রি কমে গেছে। পেশা পরিবর্তন ছাড়াও করোনার কারণে শিশুদের স্বাভাবিক আয় কমে গেছে।

জরিপে অংশ নেওয়া ৩০.৯ ভাগ শিশু বলেছে, তাদের আয়ের উপর তাদের পরিবার নির্ভরশীল। জরিপে অংশ নেওয়া শ্রমজীবি শিশুদের সবাই প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসের কথা শুনেছে। জরিপের সবচেয়ে ইতিবাচক খবর হলো, এসব শিশুদের পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তবে করোনাকালীন সময়ে কাজ করলেও শিশুদের ৫১ ভাগ কাজে যাবার সময় মাস্ক ব্যবহার করেনি। জরিপকৃত শিশুর ৩২ শতাংশ করোনাকালীন সময়ে সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা পায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে সার্বিকভাবে শিশুরা ভিন্ন-ভিন্ন ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রথমত নিম্ন ও দরিদ্র পরিবারের শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, পরিবারে কমে যাওয়া আয়ের যোগান দিতে গিয়ে অনেক শিশুই শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে। তারা সস্তায় শ্রম বিক্রি করবে। এমনকি অনেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। তৃতীয়ত অনেক মেয়ে শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হবে। চতুর্থত স্কুল বন্ধ থাকায় ঘরের মধ্যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হবে।

তিনি আরও বলেন, মহামারি করোনার কারণে বেসরকারিভাবে পরিচালিত শিশুদের অনেক স্কুল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সার্বিক বিবেচনায় শ্রম, ভিক্ষাবৃত্তি, বাল্যবিবাহের কারণে শিশুরা শিক্ষার মূলধারা থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এসব শিশুদের বড় অংশ শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়বে, এসব কারণে শিক্ষার অগ্রগতির সূচকে আমাদে দেশ পিছিয়ে পড়বে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে এবং শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টা নানাভাবে ব্যহত হবে।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

স্বতন্ত্র ‘স্বাস্থ্য সার্ভিস’ গঠনের সুপারিশ স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প...

ছেলের চুরির অপরাধে দুই মায়ের নাকে খত

ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ছেলেদের...

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানে হামলা করলে পাল্টা জবাব পাবে

যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল ইরানে হামলা করলে তেহরান পাল্টা জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ার...

কটিয়াদীতে লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে লিচুর বিচি গলায় আটকে মোহাম্...

বৈষম্যবিরোধীদের ‘অশালীন আচরণ ও হুমকির’ প্রতিবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ত...

নীলফামারীতে দ্বীপ এগ্রো পরির্দশনে অতিরিক্ত সচিব

নীলফামারী সদর উপজেলার দ্বীপ এগ্রো পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অ...

বাগেরহাটে অধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন

বাগেরহাটে মোঃ সুজন মোল্লাকে উপদেষ্টা করে অধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের কমিটি গ...

আমজাত পণ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমজাত পণ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশা...

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থী নিহত

বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া চর টেকি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্...

প্রশ্নবিদ্ধ উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জবাসী

মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টি, তারপর যা হবার তাই; বলছি নারায়ণগঞ্জ মহানগরের কথা।...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা