নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনে আজ কোনো প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছি
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুগ্মসচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের জোটগতভাবে মনোনয়নপত্র পেয়েছি ৪৮টি। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি ২টি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাছাই হয়েছে এবং তাদের তালিকা অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল।
আরও পড়ুন: আমাদের লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন
যেহেতু কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, সেহেতু আমাদের নির্বাচনী আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করার বিধান রয়েছে। আমরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করতে পারব।
তিনি আরও জানান, নির্বাচিত সংরক্ষিত সব নারী সংসদ সদস্যদের তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে টানিয়ে দেয়া হবে। এরপর ইসি সচিবালয় বিজি প্রেসে চিঠি দেবে।
বিজি প্রেস নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করবে। এরপর গেজেটের কপি সংসদ সচিবালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে। পরে সংসদ সচিবালয় তাদের শপথ পাঠ করাবে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা খবর বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার
এর আগে নির্বাচনের কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমিশনের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেছিলেন, বাছাইয়ে কারো নাম বাদ না পড়লেও মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে কেউ চাইলে আপিল করতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, আপিল নিষ্পত্তির জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রাখা হয়েছে। কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে বৈধ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের বিপরীতে সংখ্যানুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৪টি আসনে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা পেয়েছেন ৬২টি আসনে। তারা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পিলখানার বিচার দ্রুত শেষ হবে
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক ২টি দল দুটি আসন পেয়েছে। তারাও আওয়ামী লীগের সাথে জোট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি আসন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। তারা সংরক্ষিত নারী আসন পাবে ২টি।
সাধারণত সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। এটি হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। সেটি হলে দ্বাদশ সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা এ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবেন।
সান নিউজ/এনজে