ট্রেনে চড়ছে না কোরবানির পশু
জাতীয়

ট্রেনে চড়ছে না কোরবানির পশু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনে প্রস্তুত রেলওয়ে। তবে পশু সঙ্কটে এই ওয়াগন চালু করা যাচ্ছে না।

রেলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, পশু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাড়া নেই। একটি ওয়াগন রেক যত সংখ্যক পশু পরিবহনে সক্ষম, সব মিলিয়ে সারাদেশে সেই পরিমাণ বুকিং পাওয়া যায়নি।

করোনা পরিস্থিতিতে খামারি ও পশু ব্যবসায়ীদের সহায়তা করতে কোরবানির পশু পরিবহনের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। এর আগে শাকসবজি, কৃষিপণ্য এবং আমের পরিবহন করে রেল। শাকসবজি পরিবহনে উল্লেখযোগ্য বুকিং না পেলেও আমে দারুণ সাড়া পাওয়া যায়।

সংস্থাটি আশা করেছিল কোরবানির পশু পরিবহনেও সাড়া পাওয়া যাবে। তবে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন নিজেই জানিয়েছেন, রেলে কোরবানির পশু পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাহিদা পাওয়া যাচ্ছে না।

উট বাদে যে কোনো পশু পরিবহনে যোগাযোগ করতে গত ৭ জুলাই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর জানায় রেল। এতে সোমবার যোগাযোগ করা যায়, এখন পর্যন্ত একটিও পশুবাহী ওয়াগন চলেনি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা জানান, একটি মিটারগেজ ওয়াগনে ১৬টি গরু পরিবহন করা যায়। একটি রেকে ২৫টি ওয়াগন থাকে। এ হিসাবে অন্তত ৪০০ গরু পরিবহন করা যাবে। ব্রডগেজ ওয়াগন রেকের ধারণ ক্ষমতা আরো বেশি। একেকটি ব্রডগেজ ওয়াগনে ২৫টি পর্যন্ত গরু পরিবহন করা হয়।

রেলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, ২০০ গরুর বুকিং পেলেও ওয়াগন রেক পরিচালনা করা সম্ভব হতো। কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে ৫-১০টি গরু, ১৫-২০টি ছাগলের বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। এত কম সংখ্যক পশু পরিবহন করলে রেলের লোকসান হবে। রেলের দুই অঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে একই তথ্য জানা গেছে।

করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু পরিবহনে রেলের সহায়তা চেয়েছিল প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা রেলে আগ্রহী নয়। গবাদি পশু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রেলে গরু, ছাগল পরিবহন তাদের জন্য লাভজনক নয়। কারণ, এ প্রক্রিয়ায় পরিবহনে প্রথমে খামার থেকে স্টেশনে নিতে হয় গরু, ছাগল। তাতে এক দফা ভাড়া গুনতে হয়। এরপর স্টেশন থেকে সড়ক পথে হাটে নিতে আবার ভাড়া লাগে। সময়ও বেশি লাগে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০৮ সালের জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে সাতটি পশুবাহী রেল চালানো হয়েছিল। এবার যে ওয়াগনগুলোতে পশু পরিবহনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সেগুলোকে স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত করে পার্সেল পরিবহন করা হয়। কাঁচামাল, মাছ ও মুরগিও পরিবহন করা হয়।

করোনার বিস্তার রোধে গত ২৪ মার্চ সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মালবাহী ট্রেন চালু থাকলেও খুব একটা চাহিদা ছিল না। ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু হয়। দুই দফায় ১৯ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হলেও যাত্রী সঙ্কটে পরে দুটি বন্ধ হয়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব মানতে চলমান ট্রেনগুলোতে অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। যাতায়ত নিরুৎসাহিত করতে এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেন বাড়াবে না রেল।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

ফরিদপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন

জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার নগরকান্দায় সরকারি মডেল প্রাথমি...

আ’লীগের সভা ২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আ’লীগের সংসদীয় দলের ২য় সভা আগামী বৃহ...

পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু 

জেলা প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে আব্দুল্লাহ (৬) ও জামিল...

বাড্ডা এলাকায় দীর্ঘ লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রামপুরা থেকে বসুন্ধরা পর্যন্ত পাও...

হাইকোর্টের আদেশে সংক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা