জাতীয়

নির্মাণকাজ শেষ হলেই বদলাবে ২১ জেলার কাঠামো

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণাধীন অবকাঠামো পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সেতুটির মূল কাঠামো পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো। এরপরে সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হবে। স্বপ্নের সেতু নির্মাণ শেষ হলে বদলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার আর্থ-সামাজিক কাঠামো। বদলে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা।

পদ্মা বহুমুখী সেতু কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিই বদলে দেবে। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে এই সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে এই সেতু আসলেই দেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু হয়ে উঠবে।

এই সেতুর কারণে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে যাবে। এ কারণে, অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি কমপক্ষে তিন কোটি মানুষের জীবনমানে পরিবর্তন আনবে এই সেতু। আঞ্চলিক বাণিজ্য সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির গতিও ত্বরান্বিত হবে। মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য খুব সহজেই ঢাকা যাওয়া-আসা করতে পারবেন। দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে আমদানি বাণিজ্য। এতে রাজধানী ঢাকার বাজার ব্যবস্থায় আসবে স্থিতিশীলতা। অল্প সময়ে পণ্য আনা-নেওয়া করা গেলে মধ্যবিত্তের লাগামের মধ্যে আসবে নিত্যপণ্য আর লাভবান হবেন দক্ষিণাঞ্চলের দরিদ্র কৃষকেরা।

সেতু নির্মাণের ফলে নদীর তীর সংরক্ষণের ফলে নদী ভাঙন ও ভূমিক্ষয় কমবে। আর সেতুর নির্মাণ চলাকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান হয়েছে।

ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর দুইপাড়ে সংযোগ সড়কের সঙ্গে চালু হয়েছে সিক্সলেনও। সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ে কল-কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এ আশায় বুধ বেঁধে আছেন এ অঞ্চলের কৃষক, যুবক, শ্রমিক তথা কর্মজীবী প্রতিটা মানুষ।

সড়ক পথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটি ১৯৮৬ সালে চালু হয়। যেটি বর্তমানে মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই নৌরুটে শীতে ঘন কুয়াশা, বর্ষায় তীব্র স্রোতে ও গ্রীষ্মে নাব্য সংকটে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাটে আটকা থেকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আশায় বুধ বেঁধে আছে পদ্মা সেতু চালুর অপেক্ষায়।

এক সময় পদ্মা নদীর উভয়প্রান্তে বলতে গেলে জনশূন্য ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাচ্ছে।

এদিকে, পদ্মা সেতুর সঙ্গে ১৪ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সিক্সলেনও চালু করা হয়েছে। এই সেতুকে ঘিরে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা হেলথ টেকনোলজি, শেখ রাসেল আইটি পার্কসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এসব বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা। কর্মসংস্থান পাবেন এই অঞ্চলের বেকার যুবকরা।

সান নিউজ/কেটি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লা জেলার সদ...

শিরীন পারভীন দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুদকের পরিচালক...

টেম্পুচাপায় কলেজছাত্রী নিহত

জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কালুর...

মুন্সীগঞ্জে দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা 

জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জে চিপস...

ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা...

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধা...

সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল থেকে দ...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

গরমে ঠান্ডা পানি খেলে কী হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমের মধ্যে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি স্বস্তি য...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা