নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়ন করা কঠিন চ্যালেঞ্জ কিন্তু সমন্বিত পরিকল্পনা, উদ্যোগ, সাহস আর দায়িত্ব বোধ থাকলে সব সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রোববার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ড্যাপ রিভিউয়ের লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না করা গেলে কখনও লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। এছাড়া আগামী দিনগুলোর কর্মপন্থা নির্ধারণ করার জন্য একটা কর্মপরিকল্পনা করবো। আমি মনে করি যে, সবাই মিলে একসঙ্গে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান করার জন্য সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সহিত একসঙ্গে কাজ করবো।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের আবাসিক ভবন যেমন প্রয়োজন, তেমননিভাবে কর্মাশিয়াল ভবনও প্রয়োজন। কিন্তু এগুলো এমন কোনো ব্যবস্থাপনায় তৈরী করা যাবে না যাতে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সাপোর্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমাদের সে ধরনের জায়গা রাখতে হবে।
না করতে পারলে ভবিষ্যতে দুর্ভোগের কারণ হবে। আমরা সত্যিকার অর্থে একটি বসবাস যোগ্য শহর করতে চাই, সেখানে গ্রিনাইজেশনের জন্য এডুকেট স্পেজ রাখতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, সবুজায়ন, খেলার মাঠ রেখে যেটুকু হাউজিংয়ের জন্য করা যায় সেটুকু করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহর একটি আধুনিক ও সকলের বাসযোগ্য সুন্দর শহর নির্মাণ প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা। এজন্যই এ কমিটিকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। মানুষের জন্য বাসযোগ্য ঢাকা শহর গড়ে তুলতে সবকিছু বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এজন্য ৪০ শতাংশ এরিয়ায় আবাসিক ও কর্মাশিয়াল ভবন এবং এরমধ্যে ১৫ শতাংশ সবুজায়ন।
খেলার মাঠ ও লেক মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঢাকাসহ অন্য শহরগুলো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক গড়ে না ওঠার কারণে শহরে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা তা সংরক্ষিত করে সেভাবে নগরায়ন করা হয়নি। জাতির পিতাকে হত্যার পর তার যে দর্শন ছিল সেটারও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল এ সময়টাতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১০ সালে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এখন এ পরিকল্পনা নিয়ে অনেকেই ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। সেগুলো সমাধন করে অনেকেই আরবান এরিয়া করার কাজ করেছেন। আজকে আমরা ড্যাপের প্রথম সভায় উপস্থিত হয়েছি। তাই আমি মনে করি সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবো।
সান নিউজ/এসএ