নিজস্ব প্রতিবেদক : শহরের এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
শনিবার (৭ নভেম্বর) পঞ্চম দিনের অভিযানে মোট ১৩ হাজার ৪৯১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ২৫২টি বাড়ি ও স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনাও জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ও অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাতটি মামলায় মোট ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৮০৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৭৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এ সময় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নয়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুইটি মামলায় মোট সাত হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট দুই হাজার ৬৬৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট এক হাজার ৬৩২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৪টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায় এবং এক হাজার ২৩৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুটি মামলায় মোট এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট এক হাজার ৭৮৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ছয়টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া এক হাজার ১৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট দুই হাজার ৩৮১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া এক হাজার ৮২৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং অবৈধভাবে সড়ক দখল করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিনটি মামলায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট এক হাজার ৪৫৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে আটটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া এক হাজার আটটি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮১৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৭১১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৭২১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৪৯৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৯০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ছয়টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩০৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭৩১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে দুটিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৫৭৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
সান নিউজ/এনকে/এস