নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণার এক মাস পরও স্বাভাবিক হয়নি সংসদ সচিবালয়ের দাপ্তরিক কাজকর্ম। ৪৫ দিন পার হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি জাতীয় সংসদ ভবনের এবং পাশাপাশি কাজ না থাকায় নিয়মিত অফিস করতে পারছে না অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আরও পড়ুন: রিকশাসহ চালককে পিষে দিলো ট্রাক
সংসদ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে প্রায় ১ হাজার ১৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। ডিজিটাল হাজিরার সিস্টেম ভাঙচুর করে নষ্ট করে ফেলায় অনেকে আসছেন না সংসদ সচিবালয়ে। সংসদের ভেতরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসার চেয়ার, টেবিলও ভেঙে ফেলাসহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অধিকাংশ দরজা ও জানালা ভাঙা। সংসদে থাকা কয়েকশ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ খোয়া গেছে। দীর্ঘদিন পার হলেও মেরামতেরও কোনো উদ্যোগ নেই।এ কারণে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অজুহাত দেখিয়ে ঠিকমতো অফিস করছে না। আবার অনেকে অফিস করলেও সংসদ বিলুপ্ত-পরবর্তী রুটিন কার্যক্রম তারা চালিয়ে নিতে পারছেন না।
সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সংসদের আসবাবপত্র, জানালাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। সংসদের কিছু রুটিন ওয়ার্ক আছে যা এখনও শুরু করতে পারিনি। সচিব স্যার দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি ক্ষতিপূরণ নির্ধারণসহ সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: আজও গরমে হাঁসফাঁস
সংসদে ভবনে দায়িত্বপালকারী নিরাপাত্তাকর্মী বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সংসদ ভবনের গেটে প্রথমে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রবেশে বাধা দেন। হাজার হাজার মানুষ সংসদ ভবন চত্বরের দক্ষিণ প্লাজা, খেজুরবাগান মাঠ, ট্যানেলে ঢুকে পড়ে হাজারো মানুষ।
জাতীয় সংসদের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেসা করিম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সংসদ ভবনের মেরামত কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংসদ ভবন দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মোট ৯০ লাখ টাকা হারিয়ে গেছে। সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখার হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের তালিকা এ সপ্তাহে জমা হবে এবং দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
সান নিউজ/এএন