লাইফস্টাইল ডেস্ক: পবিত্র রমজান আর ক’দিন পরেই শুরু হবে। পুরো একমাস রোজা রাখবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই এক মাস সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকবেন তারা। অন্যান্য মাসগুলোতে দিনে তিনবেলা মূল খাবার খাওয়া হয়। রমজান মাসে মূলত দুইবেলা খাবার খাওয়া হয়, সেহরি ও ইফতার। সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরেও কিছু পরিবর্তন আসে। রোজার প্রস্তুতি হিসেবে কি কি প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে চলুন জেনে নেই-
আরও পড়ুন: নখের যত্নে করণীয়
খাবার: রোজায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খাবার। খাবারের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন হয় এই মাসে। বাইরে তৈরি ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, যা বড় ধরনের অসুখের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোজা রেখে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করাও কষ্টসাধ্য। তাই আগে থেকেই কিছু খাবার প্রস্তুত করে রাখা ভালো। পুরো মাসের বাজার একবারে করে রাখতে পারেন। এতে প্রতিদিন বাজার করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। ইফতারের জন্য কিছু পদ ফ্রোজেন করে রাখা যেতে পারে। মসলা বেটে রাখা বা গুড়ো করে রাখা যেতে পারে। এতে করে কাজ অনেকটাই কমে যাবে এবং পুরো রমজান মাস জুড়েই আপনি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
আরও পড়ুন: সজনে ডাল রেসিপি
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: রমজান মাসে শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ অসুস্থ হলে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতির। প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন ঘরে। কথা কম বলার চেষ্টা করুন। ঝামেলাপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলুন। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে উত্তম আচরণ করুন। সুষম খাবার গ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। অলসতা ঝেড়ে কাজে ব্যস্ত থাকুন, এতে মনও ভালো থাকবে। মন ভালো ও শান্ত রাখুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন।
আরও পড়ুন: কোথা থেকে এলো ফুচকা
শিশুদের জন্য: রোজায় শিশুদের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বড়দের কারণে যেন তাদের খাবারে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেহেতু শিশুরা রোজা রাখতে পারে না, ওদের জন্য খাবার তৈরী করতে হয়। রোজা রেখে শিশুদের জন্য খাবার তৈরি করাটা কম কষ্টের কাজ নয়। তাই চেষ্টা করুন শিশুর পছন্দের খাবার পূর্বেই প্রস্তুত করে ফ্রোজেন করে রাখার। শিশুর জন্য ফল, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারও আগেই কিনে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ভ্রমণে মনে রাখুন ৬ টিপস
পরিচ্ছন্নতা: পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। তাই পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা জরুরি। ইবাদতের জন্য ঘর-বাড়ি পরিষ্কার থাকতে হবে। ঘর পরিষ্কার থাকলে একমনে প্রার্থনা করা যায়। মনে শান্তি বিরাজ করে। তাই রোজার প্রস্তুতি হিসেবে বাড়িঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। আসবাবপত্র থেকে উঠান সব কিছু পরিষ্কার করুন। বিছনার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা আগেভাগেই ধুয়ে রাখতে পারেন। বাড়ির দেয়ালের নতুন কোনো রঙ করতে পারেন। যা হৃদয়ে প্রশান্তি আনবে।
সান নিউজ/এসআর/এএন