আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিহতের সংখ্যা গাজায় বেড়েই চলছে। ইতিমধ্যে এ সংখ্যা ২০১৪ সালে স্থল অভিযানের সময় নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কৌশল ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের কার্যকর ব্যবহারই ইসরায়েলি সেনাদের পর্যদুস্ত করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইসরায়েলি সামরিক বিশেষজ্ঞ, একজন ইসরায়েলি কমান্ডার ও হামাসের একটি সূত্র বলছে, কীভাবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী একটি বড় অস্ত্রের মজুদ, ভূখণ্ড সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ও একটি সুবিশাল টানেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গাজার রাস্তাগুলোকে একটি মারাত্মক গোলকধাঁধায় পরিণত করেছে। হামাসে যোদ্ধাদের হাতে রয়েছে গ্রেনেড সজ্জিত ড্রোন থেকে শুরু করে শক্তিশালী টুইন চার্জ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে আরও ১৫৫ জনের মৃত্যু
গত অক্টোবরের শেষের দিকে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১১০ সেনা নিহত হয়েছে। এদের এক চতুর্থাংশ ট্যাঙ্ক ক্রু ছিল প্রায়। অথচ ২০১৪ সালে ৩ সপ্তাহের সংঘাতে ৬৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছিল। ঐ সময় হামাসকে নির্মূল করা ইসরায়েলি লক্ষ্য ছিল না।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর-জেনারেল ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াকভ অ্যামিড্রর জানান, ‘২০১৪ সালের সাথে এ যুদ্ধের তুলনা করা যায় না। ঐ সময় আমাদের বাহিনী বেশিরভাগই গাজার অভ্যন্তরে এক কিলোমিটারের ভেতরে কাজ করত না।’
চলতি মাসে হামাস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যে ভিডিও পোস্ট করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, বডিক্যামসহ যোদ্ধারা সাঁজোয়া যানগুলোতে রকেট হামলা চালানোর জন্য ভবনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। গাজা শহরের পূর্বের শেজাইয়া থেকে ৭ ডিসেম্বর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিল। ঐ এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমির আর নেই
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একটি সূত্র বলছে, ‘আমরা যে ভূমিটিকে চিনি অন্য কেউ সেভাবে চেনে না ও আমরা এর সদ্ব্যবহার করছি। আমাদের ক্ষমতা ও তাদের ক্ষমতার মধ্যে একটি বিশাল ব্যবধান রয়েছে, আমরা নিজেদেরকে বোকা ভাবি না।’
সান নিউজ/এএ