আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের দায়ে বেলারুশের বিরোধী নেতা সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : মোংলায় রুশ পণ্যবাহী জাহাজ
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাসিত বেলারুশিয়ান বিরোধী দলের ডি ফ্যাক্টো এই নেতাকে তার অনুপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করেছে আদালত।
আরও পড়ুন : ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি
সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়ার দাবি, বেলারুশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানোর জন্যই তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ৪০ বছর বয়সী সিখানৌস্কায়া একজন সাবেক ইংরেজির শিক্ষক। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জয়ী হওয়ার পর প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন : ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৫
সে সময় অবশ্য সিখানৌস্কায়াসহ বেলারুশের অন্য বিরোধীরা বলেছিলেন, নির্বাচনে ফলাফলে কারচুপি করে লুকাশেঙ্কো জয়ী হয়েছেন। তাই আনুষ্ঠানিক ফলাফল সামনে আসার পর দেশটির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এবং ব্যাপক প্রতিবাদের সূত্রপাত হয়।
এতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কো বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস দমনপীড়ন চালান। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন।
আরও পড়ুন : পবিত্র শবে বরাত আজ
গণবিক্ষোভের সময় বেলারুশের প্রধান বিরোধী ব্যক্তিত্ব ও কর্মীসহ ৩৫ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেলারুশের বিরোধী দলের নেত্রী সিখানৌস্কায়াসহ অন্যান্য বিরোধী কর্মীদের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : তেলবাহী ওয়াগন ও বাস সংঘর্ষ, নিহত ৩
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বেল্টা বলছে, সোমবার মিনস্কের একটি আদালত সিখানৌস্কায়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া বিরোধী কাউন্সিলের পাভেল লাতুশকোকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য ৩ কর্মীকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে।
এই রায়ের পর সভিয়াতলানা সিখানৌস্কায়া তার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানান, বেলারুশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানোয় সরকার এভাবেই আমার কাজকে ‘পুরস্কৃত’ করেছে।
আরও পড়ুন : দুর্বৃত্তদের গুলিতে আরসা কমান্ডার নিহত
তিনি আরও লিখেছেন, তবে আমি আমার নিজের সাজা নিয়ে ভাবছি না। আমি আটক থাকা হাজার হাজার নিরপরাধের কথা ভাবছি, প্রকৃতপক্ষে কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমি থামব না।
প্রসঙ্গত, লুকাশেঙ্কো সরকার প্রায় ৩০ বছর ধরে বেলারুশ শাসন করেছেন।
সান নিউজ/এনজে