বিনোদন

ভূপেন হাজারিকার বাড়ি ভারত ঐতিহ্যের অংশ 

বিনোদন ডেস্ক:

উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার কলকাতার বাড়িকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষনা করেছে ভারত সরকার। কারণ কিংবদন্তী এ শিল্পীর বাড়িটিকে ইতিহাসের অংশ বলেই মনে করছে ভারত সরকার। ৭৭/বি, টালিগঞ্জ গল্ফ ক্লাবের তিনতলার এই বাড়িটি সম্প্রতি প্রত্নতত্ব বিভাগের তালিকাভূক্ত করা হয়।

১৯৫৬ সাল থেকে এ বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন ভূপেন। সে সময় থেকে এই বাড়িতেই পা পড়েছিল বলিউড আর কলকাতার নামি সব শিল্পীর। হাজারিকার এ বাড়ি বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত ৯৪ নং ওয়ার্ডের তালিকাভূক্ত।

এর আগে বিখ্যাত এই শিল্পীর কলকাতার টালিগঞ্জের বাড়িটি নিয়ে টানাটানি শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। এটি একসময় আসাম সরকার কেনার জন্য চেষ্টা করে। আসাম সরকার চেইছিল, বাড়িটি ঘিরে ভূপেন হাজারিকার স্মৃতি সংরক্ষণ করতে। কিন্তু তা দিতে রাজি ছিল না পশ্চিমবঙ্গ। বাড়িটি ঘিরে কলকাতায় ভূপেন হাজারিকা স্মৃতিবাহী ভবন গড়ে উঠুক, এমনটাই ইচ্ছে ছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের।

মুম্বাই যাওয়ার আগে এই বাড়িতিই থাকতেন ভূপেন। বাড়ির তৃতীয় তলায় ছিল তাঁর বাসস্থান। এখানে বসেই তিনি সংগীত চর্চা করেছেন। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের গলফ ক্লাব রোডের বাড়িটি ছিল তাঁর কলকাতার ঠিকানা।

গত শতকের ষাট ও সত্তর দশকে এ বাড়িটি ছিল মানুষজনে জমজমাট। শাবানা আজমি, অপর্ণা সেন, লতা মঙ্গেশকরসহ বহু শিল্পীর আগমন ঘটেছিল এই বাড়িতে। সেই বাড়ি থেকে একসময় ভূপেন হাজারিকা পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে। সেই থেকে বাড়িটি তালাবদ্ধ।

ভারতীয় সঙ্গীত জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ভূপেন হাজারিকার জন্ম ভারতের আসামে। অত্যন্ত দরাজ গলার অধিকারী এই কণ্ঠশিল্পীর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। অসমিয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। পরবর্তীকালে বাংলা ও হিন্দী ভাষায় গান গেয়ে ভারত এবং বাংলাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সারাজীবন বাম রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত হয়ে থাকলে মৃত্যূর আগে যোগ দেন ভারতের কট্টর মৌলবাদী দল বিজেপি ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

“রপ্তানি পণ্যে বসবে ভারী শুল্ক”

ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করে, তব...

“আওয়ামী লীগের আগে জামায়াতের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত ছিল”

আওয়ামী লীগের আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা উচি...

ভোটের মাঠে প্রায় ১ লাখ সেনা সদস্য থাকবে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ থেকে ১ লাখ সেনা দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন...

শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশ

শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে বিএনপি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্...

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই যোদ্ধাদারা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে গত ১৭ অক্টোবর জ...

দলীয় উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা নিতে হবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা ব...

স্বপ্নে নবাব সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশ, ৯ বছরের সাধনায় তৈরি মুকুট

৫১ বছর আগে এক অদ্ভুত স্বপ্নে দেখা পেয়েছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দ...

ঢাকার ১১ এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ১৩১

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা রাজধানীর ১১...

মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রী হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো....

মেহেদী উৎসবের মধ্য দিয়ে ইবিতে ছাত্রী সংস্থার আত্মপ্রকাশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী মেহেদী উৎসব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা