অপরাধ

জীবিত স্কুলছাত্রীকে হত্যার স্বীকারোক্তি, নথি চাইল আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

জীবিত থাকার পরও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত সদর থানার কার্যক্রমের বৈধতা ও যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলে করা আবেদনের (রিভিশন) ওপর বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে, গত ২৫ আগস্ট ওই স্কুল ছাত্রী ফিরে আসার ঘটনায় হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এই আবেদনটি দাখিল করেন। পাঁচ আইনজীবী হলেন- মো. আসাদ উদ্দিন, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির এবং মো. মিসবাহ উদ্দিন।

রিভিশন আবেদনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করা মামলা এবং মামলা পরবর্তী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা, বৈধতা এবং যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলার নথি তলবেরও আবেদন করা হয়। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মূল মামলার বাদী এবং আসামিদের বিবাদী করা হয়।

গত ২৪ আগস্ট 'ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন' শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সংবাদটি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এরপর আদালত আইনজীবীকে লিখিতভাবে হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ আগস্ট ওই ঘটনায় রিভিশন আবেদন দাখিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তিতে তারা বলে যে, তারা দিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিলো।

এদিকে আসামীদের স্বজনদের অভিযোগ, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা কিছুটা পরিশোধ করতে পারলেও পুরো টাকা না দিতে পারায় আসামীদের অত্যাচার করা হয়। তাদের দাবি পুলিশি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পুলিশের শেখানো কথা বলতে রাজি হয়েছে আসামীরা।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

হাসিনার মতো ভুল করবেন না, ড. ইউনূসকে সতর্কবার্তা হেফাজতের

বর্তমান সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে হেফাজতে ইসলামের নেতার...

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (৩ মে) বেশ কিছু খেলা প্রচারিত হবে টেলিভিশনের পর্দায়।...

ফেনীতে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী বাদশা গ্রেফতার

ফেনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত এক ছিনতাইকারী চক্রের প্রধানকে গ্রেফতার...

মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে ফুলবাড়ীতে উত্তেজনা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে ত...

সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে ভারতে হামলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করলে পাকিস্তান সামরিক হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি...

বগুড়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় মাছ বিক্রি করতে গিয়ে বজ্রপাতে আপন দুই ভাইয়ের মৃ...

জামালগঞ্জে ২৬৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ, গ্রেফতার ৩

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে বিপুল প...

নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

নীলফামারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পৃ...

গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বহিষ্কারের চেষ্টা

সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর (২৯৩৬) এর সভাপতি জি এম হিরু ও সাধারণ সম্পাদক মাহফিজু...

কালীগঞ্জে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে বিনামূল্যে সেলাই, হস্তশিল্প ও বিউটিফিকেশন ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা