নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চাকুরিচ্যুত হয়েছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ইমাম মুর্শিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং মসজিদ কমিটির সভাপতি ডা. হাসানুল হাছিব স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তিনি হাতে পেয়েছেন। মুর্শিদুল ইসলাম উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, মুর্শিদুল ইসলাম প্রায় ১২ বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদে ইমামতির চাকরি করেন। একই সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান করেন।
এ অবস্থায় ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ওই দিনই ইমাম মুর্শিদুল ইসলাম তার ফেসবুক প্রোফাইল তেকে মামুনুল হকের পক্ষে স্ট্যাটাস দেন।
বিষয়টি নজরে আসে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের। এ ঘটনায় ওই দিনই মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে তাকে চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে ১৮ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মসজিদ কমিটির সদস্য, মুসল্লি ও সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈঠক বসেন। ওই বৈঠকে সর্ব সম্মতিক্রমে ইমাম মুর্শিদুল ইসলামকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। কিন্ত সেই স্ট্যাটাসে আপত্তিকর কিংবা সরকারবিরোধী কথা ছিল না।
এরপরও ভুল স্বীকার করে ফেসবুক থেকে সেই স্ট্যাটাস মুছে ফেলেছি এবং মসজিদ কমিটির সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্ত তারা আমাকে ক্ষমা না করে চাকুরিচ্যুত করেছেন।’
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হাছিব বলেন, ‘মসজিদ কমিটির সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুর্শিদুল ইসলামকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সরকারি বাসা ছেড়ে দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।’
সাননিউজ/এএসএম