সারাদেশ

মেহেরপুরে রবিশষ্যে নতুনমাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেহেরপুর : কৃষি সমৃদ্ধ জেলা মেহেরপুর। এ জেলায় প্রায় সব ধরণের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। এবার জেলায় রবিশষ্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এ অঞ্চলের মাটির গুনাগুন, অবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় এটির চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে ও আগ্রহী করে তুলতে জেলার একমাত্র তৈলবীজ খামার আমঝুপিতে এর চাষ করা হয়েছে।

সেই সাথে পালন করা হয়েছে মাঠ দিবস। অনেকেই আসছেন পরামর্শ নিতে। সূর্যমূখী চাষ হলে দেশের ভোজ্য তেলের ঘাটতি মিটবে।

অনেকে বাড়ির আঙ্গিনায় ও অফিসের সামনে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সূর্যমুখী ফুল চাষ করে থাকেন। কিন্তু সূর্যমুখী একটি তেল ফসল। এটি স্থানীয় ভাবে উচ্চ মূল্যের ফসল হিসেবেও পরিচিত। ভোজ্য তেলের মধ্যে সূর্যমুখী শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল তেল। এটি শরীরের কোলষ্টোরেল ঠিক রাখে।

তাই সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে তৈলবীজ খামারে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে এবার এ খামারে ১৮ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। সেই সাখে জেলায় আরও ২৭ বিঘা জমিতে এর চাষ করা হয়। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারহ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরাও। অনেকেই আসছেন ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিডি দাস জানান, সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা। কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা, কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশী পুষ্টি সমৃদ্ধ।

শরীরের হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানসিক চাপ দূর করে। এককথায় সূর্যমুখী তেলে মানব দেহের মহাওষুধ হিসাবে ভূমিকা পালন করছে।

আমঝুপি বিএডিসির সূর্যমুখী ফুলের খামার দেখতে আসা আগ্রহী কৃষক সঞ্জ জানান, দৃষ্টি নন্দন এই ফুল প্রকৃতিকে করেছে মনোমুগ্ধকর। অনেকেই ক্যামেরা বন্দী হচ্ছেন সুর্যমূখীর সাথে। তিনি তাঁর জমিতে এই ফুল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এখান থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। একই কথা জানালেন মেহেদী ও তোফায়েল আহমেদ।

মেহেরপুর বিএডিসির উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যসুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার অষুধ কম লাগে। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। তা ছাড়া অন্যান্য তৈল বীজ যেমন সরিষার, তিল এর চেয়ে তেলও বেশী পাওয়া যায়। পুষ্টি চাহিদা পুরুণে সুর্যমূখী তেলের জন্য বিদেশ থেকে এর বীজ আমদানী করতে হয়।

দেশে এর আবাদ করা গেলে বিদেশ থেকে এর আমদানী কমে যাবে। এটি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তুলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে।

প্রতি একর জমিতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৬০ থেকে ৬৫হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

সান নিউজ/আকতারুজ্জামান/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা