সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভাড়া নেয়া বাসায় নুর বিশ্বাস (২৮) নামে এক যুবককে বটি দিয়ে জবাই করে পালিয়েছেন কথিত স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী।
আরও পড়ুন: আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত
সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবোর মা হোটেলের পেছনে দেলোয়ারের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় ২-৩ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত নূর বিশ্বাস মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানা হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাহাদুর বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ওই এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবনধারণ করতেন। এ ঘটনায় নিহতের কথিত স্ত্রীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা
তবে বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। শুক্রবার ঘর ধোয়ামোছা করে বাড়িতে ওঠেন তারা। শনিবারও তাকে রিকশা চালাতে দেখেছি।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ভাড়াবাড়ির একটি কক্ষ থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে বটি দিয়ে জবাই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারাণা করা হচ্ছে, নিহতের কথিত স্ত্রীই তাকে হত্যা করে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা
নিহতের ভগ্নিপতি মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নূর বিশ্বাসের। বিয়ের তিন দিন পর স্ত্রীকে গ্রামে রেখে ঢাকায় আসেন তিনি। রোববার নূরের মোবাইল ফোন থেকে এক নারী আমাকে কল দিয়ে বলেন, নূর বিশ্বাসকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। আপনারা এসে নিয়ে যান। আমরা গ্রাম থেকে জিরাবোর উদ্দেশে রওনা হয়ে আজ বিকেলে পৌঁছে নূরের মরদেহ দেখতে পাই। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইয়ারপুর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে এসে দেখি যুবকের গলা, মুখ ও বডিতে ক্ষত রয়েছে। তাকে হয়তো বটি দিয়ে কুপিয়ে মারা হয়েছে। আর মরদেহটি কয়েক দিনে পচে গেছে।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের কথিত স্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল