রমজান ও ঈদ পরবর্তী সময়েও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। মনোহরদী উপজেলার সদরসহ, চালাকচর, শেখের বাজার, হাতির দিয়া বাজার, এবং অন্যান্য ছোট ছোট বাজারে লাগাতার মূল্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে মাছের দামও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম, যে কারণে দাম বাড়ছে। এখন বেশিরভাগ সবজি কিনতে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও নানা ধরনের মুদি পণ্যের দাম আগের মতই আছে। পেঁয়াজের দাম কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে। গতকাল শনিবার (৩ মে) মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই দেখা গেছে।
সবজি বিক্রেতারা বলেছেন, শীতের সবজি মৌসুম শেষ হয়ে গ্রীস্মের মৌসুম পড়েছে। যে কারণে এই মাঝামাঝি সময়ে সবজির সরবরাহ কম। এতে প্রায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। মনোহরদী বাজারসহ চালাকচর, শেখের বাজার, হাতিরদিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা, পটল, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে।
এদিকে করলা, বেগুন, বরবটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এর চেয়ে বেশি দর দেখা গেছে কাঁকরোলের। বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হক বলেন, গ্রীষ্মের সবজি কেবল উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবছর সিজন চেঞ্জের সময় সবজির দাম বেশি থাকে। কিছুদিন গেলে আবার দাম কমবে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারিভাবে মনিটরিং না থাকলে এমন পরিস্থিতি চলতেই থাকবে।
সাননিউজ/ইউকে