যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল ইরানে হামলা করলে তেহরান পাল্টা জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। রবিবার (৪ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর হুতি বিদ্রোহী ও ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। এরপরই এমন পাল্টা হুমকি দিলো ইরান।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যদি এই যুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইহুদিবাদী সরকার (ইসরায়েল) শুরু করে, তাহলে ইরান তাদের স্বার্থ, ঘাঁটি এবং বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করবে-সেটি যেখানেই হোক এবং যখনই প্রয়োজন মনে করে করবে।
রবিবার ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি। এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, হুতি বিদ্রোহীদের ও ইরানকেও এই হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে নেতানিয়াহু বলেন, অতীতেও ইরানের সমর্থনপুষ্ট (হুতি) বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নিয়েছে’ ইসরায়েল এবং ভবিষ্যতেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, এক দফায় এই (প্রতিশোধমূলক) পদক্ষেপ নেয়া হবে না, বরং বেশ কয়েক দফায় (প্রতিশোধ) নেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ইসরায়েলি নেতা।
পরবর্তীতে এক্সে দেয়া পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, হুতিদের হামলা ইরান থেকে এসেছে। নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেয়া সময় ও অবস্থানে ইরানকে জবাব দেবে ইসরায়েল। তবে নেতানিয়াহুর দাবি উড়িয়ে দিয়ে নাসিরজাদেহ বলেন, ইয়েমেনের হুতিরা হামলা করার সিদ্ধান্ত নিজেরা নেয়।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার যাচাইকৃত ছবি এবং ফুটেজ অনুসারে, রবিবার ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিমানবন্দরের সীমানায় আঘাত হানে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্রটি গুলি করে ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও এটিকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন আহতও হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্যারামেডিকেরা।
সাননিউজ/ইউকে