আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনাও বাড়ছে সমানতালে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছে।
এ নিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে চারজন বিক্ষোভকারী নিহত হলো।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচিসহ দেশটির নির্বাচিত নেতাদের বন্দী করে সেনাবাহিনী। এরপর তারা গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেয়। সেনাবাহিনী পুনরায় নির্বাচন দিয়ে বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে দেশটির জনগণ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রেপ্তার নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, সুচিকে কোথায় আটক রাখা হয়েছে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার সুচির রাজনৈতিক পার্টি এনএলডির বরাত দিয়ে ‘ইন্ডিপেনডেন্ট মিয়ানমার নাও’ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সুচিকে গৃহবন্দী থেকে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। পশ্চিমা দেশসমূহ সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে এবং সীমিত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শনিবারের ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শরীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো পুলিশ বিক্ষোভস্থলে অবস্থান নিতে শুরু করে। তারা বিক্ষোভকারীদের আটক করে। কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীকেও শনিবার আটক করা হয়েছে বলে এই সূত্রটি জানিয়েছে।
মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় শহর মনোয়াতে পুলিশের গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে এই শহরের এক বিক্ষোভকারী জানান, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। আয়ে আয়ে নামে ওই বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করেছে। মানুষের সঙ্গে তাদের এমন আচরণ করা উচিত নয়।’ এছাড়া ইয়াঙ্গুনে পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়েছে এবং সেনা শাসনের বিরুদ্ধে গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সান নিউজ/আরআই
Copyright © Sunnews24x7Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.