সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে গত কয়েকবছরে রান্না করার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বেড়েছে। ঠিক তেমনি গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণের মত দুর্ঘটনার হারও বেড়েছে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মত রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও কমদামী এবং মানহীন সিলিন্ডার কেনার ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মূলত বাংলাদেশে যেসব গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়, সেগুলোর অনেকগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে তৈরি করা হলেও অনেক সিলিন্ডারই নকল হয়ে থাকে। এই নকল সিলিন্ডারগুলোর ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার অনেক সময়ই মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক দুর্ঘটনা এড়াতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে জরুরি কিছু সতর্কতা-
>> সিলিন্ডারগুলোর সাধারণত ১০ বা ১৫ বছরের মেয়াদ থাকে। ওই মেয়াদের পরে সেগুলো ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই মেয়াদ দেখে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করুন।
>> আবার অনেক সময় সিলিন্ডার পরিবহণও যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী না করায় সেগুলোতে ত্রুটি দেখা যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
>> অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় গ্যাস সিলিন্ডার রান্নাঘরে চুলার নিচে বদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়। বদ্ধ পরিবেশে না রেখে খোলামেলা জায়গায় সিলিন্ডার রাখুন, দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।
>> দুর্ঘটনা এড়াতে একটু লম্বা পাইপ ব্যবহার করে বারান্দায় সিলিন্ডার রাখার চেষ্টা করা করুন।
>> সিলিন্ডার কাত করা বা সোজা করে না রাখার ফলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
>> অনেক সময়ই দেখা যায় গ্যাস শেষ হয়ে গেলে সিলিন্ডারের পুরো গ্যাস ব্যবহার করার জন্য মানুষ সিলিন্ডার কাত করে, ঝাঁকিয়ে আবার সেটি ব্যবহার করে। কাত করলে তরল গ্যাস সিলিন্ডারের মুখে চলে আসতে পারে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
>> এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করছে কি না, তা বোঝার জন্য পাইপের কাছে নাক নিয়ে গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। সূত্র: বিবিসি।
সান নিউজ/এসএম
Copyright © Sunnews24x7Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.