আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেল ধসে আটকেপড়া ৪১ শ্রমিককে ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এতদিন পাইপের মাধ্যমে শুকনো খাবার পাঠানো হলেও সোমবার (২০ নভেম্বর) নতুন একটি পাইপের মাধ্যমে রান্না করা খাবার পাঠানো হয়েছে শ্রমিকদের কাছে। এছাড়া খাদ্য, পানীয় ও অক্সিজেন পৌঁছাতে এবং উদ্ধারকাজ সহজ করতে বিভিন্ন দিক দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সমঝোতায় রাজি ইসরাইল
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন টানেলে এতদিন ধরে আটকেপড়া শ্রমিকদের পাইপের মাধ্যমে শুকনো খাবার পাঠানো হলেও সোমবার নতুন একটি পাইপের মাধ্যমে রান্না করা খাবার পাঠানো হয়েছে।
ওই শ্রমিকদের জন্য খাবার প্রস্তুতকারক হেমান্ত নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘শ্রমিকদের কাছে এবারই প্রথম গরম খাবার যাচ্ছে। আমরা তাদের কাছে বোতলে ভরে খিচুড়ি পাঠাচ্ছি। আমাদেরকে যেসব খাবার রান্না করতে বলা হয়েছে আমরা সেসবই পাঠাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গাজায় নিহত ১৩ হাজার ছাড়াল
এছাড়াও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিকদের মনোবল দৃঢ় রাখতে তাদের সঙ্গে ওয়াকিটকিতে কথা বলা হচ্ছে। কথা বলছেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরাও। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করে বলেছেন, শ্রমিকদের সাহস যোগাতে, মনোবল অটুট রাখার ব্যবস্থা করতে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, পাঁচটি সংস্থা পাঁচ রকমভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে তিনদিক দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর নির্মাণ শাখার সেনারাও। খাদ্য, পানীয় ও অক্সিজেন পৌঁছে দিতে এবং উদ্ধারকাজ সহজ করতে বিভিন্ন দিক দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে হামলা চালালো হিজবুল্লাহ
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ধসের মধ্য দিয়ে পাইপ ড্রিল করে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে শ্রমিকরা ২০০ মিটার পথ অতিক্রম করে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের সিল্কইয়ারা ও দান্দানগাঁওকে সংযুক্তকারী টানেল নির্মাণের কাজ শেষ করে বের হচ্ছিলেন নাইট শিফটের শ্রমিকরা। এ সময় ডে শিফটের শ্রমিকরা প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ করেই সেটি ধসে পড়ে। এতে সেখানে ৪১ জন শ্রমিক আটকা পড়েন।
সান নিউজ/টিও