জামালপুর প্রতিনিধি : ঘুর্ণিঝড়ে উপড়ে পড়ে যাওয়া গাছ কাটতে গেলে গাছ দাঁড়িয়ে যাওয়ার অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন গাছ মালিক ও গাছ কাটা শ্রমিকরা। বুঝার কোন উপায় নেই যে এখানে গাছ পড়েছিল। আগের মতোই মাটি সমান হয়েছে। কোন প্রকার চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন : ইসলামপুরে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু
এরপর থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গাছ দুটি এক নজর দেখতে দুর দুরান্ত থেকে উৎসুক জনতা ভীড় করছে।
শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরের পুর্ব ভেঙ্গুরা গ্রামে মন্ডলবাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
অলৌকিক ঘটনা ভেবে গাছের গোড়ায় আগরবাতি, মমবাতি,লাল শালু কাপড় বেঁধে দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা
পুর্ব ভেঙ্গুরা গ্রামের আহম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে গাছের মালিক মুক্তার মন্ডল জানায়, ১৬ মে ঘুর্ণিঝড়ে ৬টি গাছ উপড়ে পড়ে যায়। গাছের মালিক মুক্তার ঝড়ে পড়ে যাওয়া ৬টি গাছ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে কাঠ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের কাছে।
শুক্রবার দুপুরে মুক্তার গাছ কাটার মিস্ত্রিকে ডেকে এনে মাটিতে পড়ে থাকা ৬টি গাছের মধ্যে ৪টি গাছ করাত দিয়ে কেটে ফেলে। বাকি দুটি গাছের গোড়ায় করাত দিয়ে কাটতে গেলে গাছ দুটি পুনরায় আগের মতো দাঁড়িয়ে যায়। এসময় গাছ কাটা মিস্ত্রি ছিঁটকে পড়ে যায়। ভয়ে গাছ কাটা মিস্ত্রিরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, বুঝার কোন উপায় যে এখানে গাছ পড়েছিল। আগের মতোই মাটি সমান হয়েছে। কোন প্রকার চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন : পাচারের সময় ১৯ রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৫
স্থানীয় বাসিন্দা মমতাজ বেগম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুপুরের দিকে বিকট একটা শব্দ পাই। পড়ে গিয়ে দেখি মাটিতে পড়ে থাকা গাছগুলো দাঁড়িয়ে গেছে। আর দুই পাশে দুই শ্রমিক মাটিতে পড়ে আছে। কিছু জানার আগেই তারা করাত নিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
গাছের ক্রেতা কাঠ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানও একই কথা বলেন।
সংবাদ মাধ্যমকে গাছ কাটার শ্রমিক জলিল মিয়া জানান, গাছের গোড়ায় দুই থেকে তিন বার করাত দিয়ে কাটার সময় মনে হলো আমাদের কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলো দিলো। পড়ে দেখি গাছ আগের স্থানেই দাঁড়িয়ে আছে। গাছ কাটা বাদ দিয়ে চলে যান তারা।
আরও পড়ুন : আগুনে ইজিবাইকসহ ঘর পুড়ে ছাই
ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি মেয়ের চিকিৎসার জন্য। তবে বিষয়টি আমি ফোনে জানতে পেয়েছি গাছ দেখার জন্য লোকজন ভীড় জমাচ্ছে।
ঝড়ে পড়ে থাকা গাছ দাঁড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অলৌকিক না কাকতালীয় এই নিয়ে জেলাজুড়ে নানামুখি আলোচনা চলছে।
সান নিউজ/এইচএন