আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কাশ্মীরের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৫ জওয়ান নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের খোঁজে পুঞ্চ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন : নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবো
জম্মুর প্রতিরক্ষা দফতর জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে ভীমবের গলি থেকে পুঞ্চের দিকে যাচ্ছিল আর্মির ট্রাকটি। ওই সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রচণ্ড বৃষ্টি ও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সুযোগে তারা হামলা চালায়। গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। মনে করা হচ্ছে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, যে এলাকায় আর্মি ট্রাকের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল সেটা বরাবর পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করে। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ওই স্থানে হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন : সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর শুক্রবার
তবে এখানে সন্দেহজনক সন্ত্রাসীরা আনাগোনা করছে বলে খবর এসেছিল। স্থানীয় এক শিক্ষক জানিয়েছেন, এখানে গভীর জঙ্গল রয়েছে। একাধিক প্রাকৃতিক গুহা রয়েছে। সন্ত্রাসীরা সহজেই লুকিয়ে পড়তে পারে। জম্মু-পুঞ্চ হাইওয়ে এখান দিয়েই গেছে।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলছে আর্মির ট্রাক। এক সেনার মাথায় সম্ভবত আঘাত লেগেছে।
আরও পড়ুন : যে দুর্ভোগ দেখেছি এখন তা নেই
এ ঘটনায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর কাশ্মীরের কাছে কাটরাতে তীর্থযাত্রী বোঝাই একটা বাসে আচমকা আগুন ধরে যায়। ওই সময় চার তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়। ২২ তীর্থযাত্রীর আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। এরপর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, স্পেশাল স্কোয়াড এই আগুনের পেছনে ছিল। তারাই আইইডি ব্লাস্ট করেছিল।
আরও পড়ুন : বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৪
২০২১ সালের অক্টোবরে এই এলাকার কাছাকাছি ৯ সেনার ওপর হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।
সান নিউজ/এমআর