রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ ঘটনায় স্কুলের নিহত দুজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সম্মাননার বিস্তারিত অতি দ্রুত নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হয়। তাঁদের প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের মাগফিরাত কামনা করে ও আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনা করে আগামীকাল শুক্রবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।
গত সোমবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন শিক্ষক হলেন মাহরীন চৌধুরী এবং মাসুকা বেগম।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হয়
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হয়ছবি: প্রেস উইংয়ের সৌজন্যে
গতকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটা পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। যদিও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এরপর ওই দিন রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। যে কারণে গণমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা ৩২ উল্লেখ করা হয়েছিল। এর বেশির ভাগই শিশু।
সাননিউজ/এসএ