গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর উপদেষ্টারা বলেছিলেন, প্রতি মাসে তাঁরা নিজ নিজ দপ্তরের কর্মকর্তা ও নিজেদের সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে দাখিল করবেন। কিন্তু সরকারের এক বছরে কোনো একটি মন্ত্রণালয় এ হিসাব দাখিল করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, হিসাব দাখিল না করার বিষয়টি নিয়ে যখন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখন একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, যারা এই সরকারের আমলে টেন্ডার, তদবির, নিয়োগ-বাণিজ্য, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অর্থ আদায় করেছে, তারা বলতে শুরু করে, আগে নিজের হিসাব দাখিল করেন। এরা সরকারের কাছে কোনো ধরনের জবাবদিহি চাওয়া পছন্দ করে না। কারণ, জবাবদিহি শুরু হলে এদের নাম প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। যেমনভাবে গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের (দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত) নাম বাইরে এসেছে। সরকার এসব নীতিহীনের খপ্পরে পড়েই জবাবদিহিহীন হয়ে পড়েছে।
বিভিন্নভাবে ছায়া সরকারের কথা শোনা যায় বলে উল্লেখ করেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এরাই (সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, নীতিহীনেরা) সেই ছায়া সরকার চালায়। যখন উপদেষ্টারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্পদের হিসাব দেওয়া শুরু করবে, তখন এদের মাতবরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এরা সরকারকে হিসাব দিতে দেয় না। তারা উপদেষ্টাদের বলে, অতীতে কোনো সরকার এ রকম হিসাব দিয়েছে যে আপনারা দেবেন!
অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ এক বছর সময় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, এর মধ্যে সেভাবে সমালোচনা, জবাবদিহি চাওয়া হয়নি। কিন্তু রাষ্ট্র চালাতে কেউ বছরের পর বছর সহানুভূতি দেখাবে না। জনগণ এখন থেকে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চাইবে। এতে সরকারের সুবিধাভোগীরা বিরাগভাজন হলেও করার কিছু নেই।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, একই সঙ্গে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদেশিদের খুশি করতে এই সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, শিগগিরই এর প্রতিবাদে জনগণ মাঠে নামবে।
সাননিউজ/এসএ