আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া কিছু গোপন নথিপত্র থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য জানা গেছে। এসব নথিপত্র জানা গেছে বেশ কয়েকটি দেশসহ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি চালানোর খবর।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ১৩৩
ঐ গোপন নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রাশিয়ার দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী ছিলেন।
এর মধ্যে একটি নথিতে গুতেরেস ও তার ডেপুটির মধ্যে হওয়া কথোপকথনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপর এক নথিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের অবস্থানসহ আফ্রিকান একটি দেশের নেতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : পাহাড়ে শুরু হলো সাংগ্রাই
এছাড়া ‘জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায়’ রাশিয়া-ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তির কথা বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চুক্তিটি অক্ষুন্ন রাখতে গুতেরেস এতটাই তৎপর হয়েছিলেন যে, তিনি রাশিয়ার দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন। তিনি রাশিয়ার খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়টি শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এটি করতে গিয়ে যদি রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে হয় সেটিতেও রাজি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৪
এ নথিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গুতেরেসের কিছু কর্মকান্ড ইউক্রেনে অপরাধ সংঘটিত করার জন্য রাশিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত করছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গুতেরেসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব যেন গরীব দেশগুলোর ওপর না পড়ে, দেশগুলো যেন প্রয়োজনীয় খাবার ও সার পায় সেটি নিশ্চিতেই শস্য চুক্তি নিয়ে এতটা তৎপর ছিলেন গুতেরেস।
আরও পড়ুন : ডা. জাফরুল্লাহকে শ্রদ্ধা জানানো হবে আজ
জাতিসংঘের আরেক কর্মকর্তা জানান, গুতেরেস কখনোই রাশিয়ার পক্ষপাতিত্ব করেননি। তিনি যুদ্ধের শুরু থেকেই মস্কোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
অপর এক নথিতে গুতেরেস এবং তার ডেপুটি আমিনা মোহাম্মদের মধ্যে হওয়া একটি কথোপকথনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আমিনা মোহাম্মদের সাথে গুতেরেস ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দার লিয়েনের সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন : তিন গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৪
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর উরসুলা বলেছিলেন, ইউরোপের উচিত অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানো। আমিনা মোহাম্মদের সাথে কথোপকথনে গুতেরেস জানিয়েছেন, উরসুলার এমন সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ।
এছাড়া আমিনা মোহাম্মদ গুতেরেসকে আফ্রিকার নেতাদের একটি সম্মেলনের কথা বলেন।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
তিনি বলেন, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো দয়ামায়াহীন। তিনি তাকে বিশ্বাস করেন না।
খবর : বিবিসি
সান নিউজ/এনজে