সান নিউজ ডেস্ক: এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর দ্বারস্থ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়ান ক্রীড়াবিদদের ‘কোনও স্থান’ থাকা উচিত নয়।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
পরে টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, প্যারিসের অলিম্পিক গেমসে রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়, (ফোনালাপে এই বিষয়টিতে) আমি বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: ২ মাস আগেই করা হয় হত্যার নীলনকশা
এএফপি বলছে, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েকদিন পরে সেই হামলা শুরু হয়েছিল।
হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বেশ দ্রুত রাশিয়া এবং তার প্রতিবেশী বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বা বেলারুশে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন করা হয়নি। একইসঙ্গে এই ধরনের বড় প্রতিযোগিতা থেকে এই দু’টি দেশের জাতীয় প্রতীকও বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরআন পুড়িয়ে কট্টরপন্থিদের বিক্ষোভ
আইওসি প্রধান থমাস বাচ গত বছর বলেছিলেন, তিনি চান ২০২৩ সালে ক্রীড়া নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হোক। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক এবং ইতালিতে ২০২৬ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে একটি শক্তিশালী ইউক্রেনীয় দলও দেখতে চান তিনি।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রাশিয়ার সকল ক্রীড়াবিদকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের সেনাপ্রধান বরখাস্ত
উল্লেখ্য, টানা ১১ মাস ধরে রুশ আগ্রাসন মোকাবিলা করছে ইউক্রেন। দীর্ঘ এই সময়ে রাশিয়ার ওপরে চাপ সৃষ্টি করা যায় এমন কোনও পন্থাই বাদ রাখেনি দেশটি। এমনকি মস্কোকে চাপে রাখতে এবার অলিম্পিক গেমসের প্লাটফর্মকেও ব্যবহার করতে চায় কিয়েভে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে