সান নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। শুক্রবার (৪ মার্চ) এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১১
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রুশ বাহিনী স্কুলসহ বহুতল আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
চেরনিহিভ শহরটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। উত্তর দিক থেকে এই শহরটিতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সামরিক বাহিনী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
আরও পড়ুন: সয়াবিন নৈরাজ্যে কৃত্রিম সংকট
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এই এক সপ্তাহেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল। আর তাই জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।
চেরহিনিভ শহরের ডেপুটি মেয়র রেজিনা গুসাক এএফপিকে জানিয়েছেন, শহরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বোমা হামলা করেছে। এদিকে চেরহিনিভ শহরে রুশ হামলার বেশ কিছু ছবি সামনে এনেছে ইউক্রেনের জরুরি বিষয়ক দফতর।
এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালালেও মস্কো বরারবরই দাবি করছে যে, তারা বেসামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে না। যদিও রুশ এই দাবির বিপরীতে ব্যাপক প্রমাণ রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন দাবি করেছে যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় নয় হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার, ২১৭টি ট্যাঙ্ক, ৩০টি যুদ্ধবিমান, ৮৪৬টির বেশি সাঁজোয়া যান ও ৩১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ জেনারেল নিহত
টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনে থাকা লোকজনের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন।
বিবিসির প্রতিবেদক লেউইস গুডঅল জানান, ২০১৫ সালে শরনার্থী সঙ্কটের সময় ১৩ লাখ শরনার্থী হয়েছিল ইউক্রেন থেকে। আগামী এক সপ্তাহেই এই সংখ্যা পেরিয়ে যেতে পারে।
সান নিউজ/এনকে