ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ এই ৬ টি ঋতুর মধ্যে বসন্ত ঋতুতে সেজে উঠেছে বাংলার প্রকৃতি। বসন্ত ঋতুতে কোকিলের কুহু-কুহু শব্দে যেন প্রকৃতি মুখরিত হয়ে যায়। প্রকৃতি যেন মনে হয় বর্ণিল সাজে সেজে হাতছানি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : ৭শ খেঁজুর গাছ থেকে দিনে ১ হাজার লিটার রস সংগ্রহ
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার গ্রামের পথে-প্রান্তের গাছে গাছে হলুদের নিবিড় সমাগম উপস্থিতির দেখা পাওয়া যায়। যেন চারপাশে মুখরিত ফুলের রঙে রঙিন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সাথে সাথে প্রকৃতি সেজে ওঠেছে তার আপন রূপ, রং আর বৈচিত্র্যে। গাছে গাছে ফুটে শোভা পাচ্ছে পলাশ, কাঞ্চন আর শিমুল। সবই যেন জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের রাজত্বকে।
আরও পড়ুন : জীবন্ত সাপ-ব্যাঙ-ইঁদুর খেয়ে আলোচনায় আকরাম
সেই সাথে ঝোপা ধরা ফুলের মাঝে মাঝে উড়ে বেড়ানো মৌমাছি অথবা পাখিদের মিতালি। এ যেন প্রকৃতি তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে ঢেলে দিয়েছে মানুষের উপভোগের জন্য। যা দেখে মন ভরে যাবে যে কোনো বয়সের প্রকৃতি প্রেমীদের।
গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।
আরও পড়ুন : ঈশ্বরগঞ্জে পান চাষির মুখে হাসি
ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে আসলেই দেখা মিলবে হাজারো গাছে ফুটে থাকা আবির রাঙ্গা বাসন্তি ফুলের। আর সেই দেখা চোখ জুড়াবে সারি সারি কাঞ্চন আর পলাশ গাছে ফুটে থাকা বাহারি কাঞ্চন আর পলাশ ফুল। এছাড়া, উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নে মাঠের ঘাটরে বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারে গাছে ফুটেছে রক্তরাঙ্গা শিমুল ফুল।
ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা আশিকুর রহমান ইমরান বলেন, ঋতুরাজ বসন্তের এই ফুল না দেখলে মনে হয় কি যেন দেখলাম না। প্রতিটি ফুলের সৌন্দর্য একেক রকম। পলাশ, কাঞ্চন আর শিমুল ফুলগুলো সেজে উঠেছে তার আপন রূপ, রং আর বৈচিত্র্য নিয়ে। যতটা সময় তাকিয়ে থাকি ততক্ষণ চোখের পলক আটকে থাকে ফুলগুলোর স্নিগ্ধতার কাছে স্রষ্টার সৃষ্টি এই অপার সৌন্দর্য যে দেখবে না সে হয়ত বিশেষ কিছু দেখা থেকে বঞ্চিত হলো।
আরও পড়ুন : গাইবান্ধার হেয়ার ক্যাপ যাচ্ছে চীনসহ মধ্যপ্রাচ্যে
বর্তমানে নানা কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত করবী লাল রঙে ফুটে উঠে দৃষ্টি কেড়ে নেয়। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার জন্ম হয়।
তবে বৈশ্বিক দূষণ আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র্য আর সৌন্দর্যকে। প্রকৃতিকে আর স্বরূপ ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন পরিবেশ দূষণরোধ ও ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করা।
সান নিউজ/এইচএন