সারাদেশ

গাইবান্ধার হেয়ার ক্যাপ যাচ্ছে চীনসহ মধ্যপ্রাচ্যে 

এস.এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: মানুষের মাথাার ঝড়ে চুল দিয়ে হেয়ার ক্যাপ তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে গাইবান্ধার নারীরা। গাইবান্ধার খামার বোয়ালীতে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিকভাবে পরচুলা বা হেয়ার ক্যাপ তৈরির কারখানা। সেখানে বেকার শিক্ষার্থী, গৃহবধু ও অসহায় দরিদ্র নারীরা কাজ করে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করছে।

আরও পড়ুন: কারও কাছে মাথা নত করা যাবে না

আর তাদের হাতের কারিশমায় তৈরি হওয়া হেয়ার ক্যাপ চীনসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। গ্রামের নারীরা বাড়িতে বসে না থেকে নিজে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে। দরিদ্র পরিবারের মহিলারা পরচুলা তৈরির কারখানায় কাজ পেয়ে বদলে দিয়েছে তাদের জীবন যাত্রার মান।

শিক্ষার্থী, গৃহবধু ও অসহায় দরিদ্র নারীরা নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। সেই সাথে বদলে দিয়েছে গ্রামের অর্থনীতির চাকা। শুধু খামার বোয়ালী নয়, সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ও তিনমাইল নামক স্থানে পরচুল বা হেয়ার ক্যাপ তৈরি কারখানা স্থাপন করেন দিনাজপুরে রাজ আহম্মেদ।

আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৮ আসামির যাবজ্জীবন

এমএস মমতা হেয়ার প্রোসেসিং কারখানায় টাক মাথার জন্য ব্যবহার করা এসব পরচুল ক্যাপ তৈরি করে এসব গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক হতদরিদ্র নারী ও স্কুল পড়ূয়া শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন। বেকার নারীরা খুঁজে পেয়েছে বাড়তি আয়সহ নতুন কর্মসংস্থানের। তাদের তৈরি করা হেয়ার ক্যাপ যাচ্ছে চীনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

খামার বোয়ালী গ্রামের মোছা. মুন্নি আক্তার বলেন, এখানে কাজ করে সংসারে অনেকটাই স্বচ্ছলতা এসেছে। কারণ প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করছি। আগেতো বাড়িতে বসে থাকতে হয়েছে। এ কারখানাতে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এ আয়ের কারণে স্বামীকেও সাপোর্ট দিতে পাচ্ছি। পাশাপাশি আমার বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ চলছে।

আরও পড়ুন: বিএনপির দেশ চালানোর সুযোগ নেই

পরচুলা তৈরির কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থী মিষ্টি বেগম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়াশুনার পাশাপশি এ কারখানায় কাজ করে বাড়তি উপার্জন করছি। এতে আমার পড়াশুনার খরচ চলছে পাশাপাশি সংসারেও সহযোগিতা করতে পারচ্ছি। বাড়িতে বসে না থেকে বেকার নারীরা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করলে নিজেই স্বাবলম্বী হবে।

এমএস মমতা হেয়ার প্রোসেসিং গাইবান্ধা জেলা ম্যানেজার ফিরোজ কবীর বলেন, দিনাজপুরে আমাদের মূল কারখানার শাখা হিসেবে গাইবান্ধায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সদর উপজেলার খামার বোয়ালী, বাদিয়াখালী ও তিনমাইল নামক এলাকার বেকার নারীরা কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা উপার্জন করছে।

আরও পড়ুন: গভীর সংকটে আছে বিএনপি

গাইবান্ধা বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় বলেন, গাইবান্ধা জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে পরচুলা তৈরির কারখানা গড়ে উঠায় এলাকার বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। চায়না থেকে কাচামাল আমদানি করে, বাংলাদেশের নারীদের দিয়ে তৈরি করা হেয়ার ক্যাপ চায়নাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা রাজু আহম্মেদ কোন সহায়তা চাইলে বিসিক পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

সান নিউজ/কেএমএল

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিক্ষককে চেনেন না নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই!

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

ভারত থেকে ২৭৭৮০ স্যালাইন আমদানি

জেলা প্রতিনিধি: ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য যশোরের বেনাপোল...

আ’লীগের সভায় র‍্যাফেল ড্র ও নগদ অর্থ বিতরণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: আগামী জাতীয় স...

২ বছর ধরে অ্যান্টিভেনম নেই শরণখোলা হাসপাতালে        

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: প্রকৃতির...

রাজধানীতে ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে টানা ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্...

মিরপুরে পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন জ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ...

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর...

ব্যাংকে ঢুকে ছিনতাই, গ্রেফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্টনে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা