এম.এ আজিজ রাসেল : কয়েকদিন ধরে বেশ উত্তেজনা চলছে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পাহাড়ি এলাকায়। এর রেশ পড়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশে এসে পড়েছে অবিস্ফোরিত ভয়ংকর মর্টারশেল।
আরও পড়ুন : ভারতীয়দের বড় বিনিয়োগের আহ্বান
এছাড়া সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুর্হূমুহ মর্টারসেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকরা।
এর মধ্যে দুইদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারো উত্তেজনা শুরু হয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায়। এর অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী এলাকায় মুর্হূমুহ মর্টারশেল নিক্ষেপ হচ্ছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মর্টারশেল নিক্ষেপ হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে প্রতিরোধ করতে সেদেশের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমম্ব্রুর সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বের ভবিষ্যৎ এখন এশিয়ায়
এই নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওপারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলসহ নানা ভারী অস্ত্রের আওয়াজে এপারের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশপারী এলাকার মানুষের ঘুম হারাম কয়েক দিন ধরে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এরমধ্যে গত ২৮ আগস্ট দুটি অবিস্ফোরিত ভারি মর্টারসেল বাংলাদেশে ভেতরে এসে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর লোকজন ভারী গোলাটি নিষ্ক্রিয় করে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর দুটি হেলিকপ্টার থেকে সীমান্তের খুব কাছে গুলিবর্ষণ করে।
আরও পড়ুন : ব্যালটে হবে ভোট
এদিন সকালে রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির অধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার আসে। ওই সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয়।
হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গোলা ছুঁড়তে দেখা যায়। এতে বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী মানুষ ভয়ে দিগবিদিক পালানোর চেষ্টা করে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, ‘সীমান্তের ওপারে দুই দিন ফায়ারিং বন্ধ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। তবে সীমান্তের আকাশে কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন : মন্ত্রিত্ব যাবে কিনা, এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে সীমান্তে মর্টার শেল পড়ার ওই ঘটনায় কড়া জবাব দেয় ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়াকে ২৯ আগস্ট বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে প্রতিবাদ জানানো হয়।
এরপরও সীমান্ত আইন ভঙ্গ করে মিয়ানমার এলাকায় মর্টারসেলসহ ভারিত অস্ত্রের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
সান নিউজ/এইচএন