সান নিউজ ডেস্ক : নাটোরের হরিশপুরে তরকারিতে তেল বেশি দেওয়ার কারণে গৃহবধূ মুক্তি বেগমের (৩০) সাতটি আঙ্গুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী আব্দুল হাই ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: বিশ্ব কঠিন সময় পার করছে
বুধবার (২৭ জুলাই) ভোরে সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত রোববার (২৪ জুলাই) দুপুর ১ টায় সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামে মুক্তি বেগমকে কুপিয়ে হাতের সাতটি আঙ্গুল কেটে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী আব্দুল হাই।
১৩ বছর আগে ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল হাই আগের তিনটি বিয়ের কথা গোপন রেখে সদর উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের মেয়ে মুক্তি বেগমকে বিয়ে করে। তাদের বৃষ্টি (১১) ও স্বাধীন (৮) নামের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে আব্দুল হাই স্ত্রী মুক্তি বেগমকে অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
তারপর সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি মুখ বুঝে সহ্যা করে আসছিল। গত রোববার দুপুর ১টায় তরকারি রান্না করার সময় তেল বেশি দেওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাই ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্ত্রী মুক্তি বেগমকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দুই হাতের সাতটি আঙ্গুল কেটে দেয়। মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আরও পড়ুন: দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি
স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবণতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সান নিউজ/এসআই