সারাদেশ

ওয়ারীতে নমুনা দাতাদের সংখ্যা বাড়ছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে লকডাউন হওয়া রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় দিনদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে নমুনা দিতে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। লকডাউনের প্রথম চারদিনে পরীক্ষা জন্য নমুনা দেওয়া ৬৯ জনের মধ্যে ৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। আর পঞ্চম দিন বুধবার ( ৮ জুলাই) প্রথম চার দিনের তুলনায় বেড়েছে নমুনা দিতে আসা মানুষের সংখ্যাও। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিএসসিসি। সংস্থাটি বলছে, এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি এলাকায় লকডাউনের যৌক্তিকতাকে তুলে ধরছে। তাই লকডাউন আরও কঠোরভাবে পালন করা হবে।

ওয়ারীর কন্ট্রোল রুম সূত্র জানিয়েছে, লকডাউন এলাকায় নমুনা সংগ্রহের জন্য র‌্যাংকিং স্ট্রিটে অবস্থিত ওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করার সক্ষমতা রয়েছে। তাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরদিন সকালে সেই রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বুথটি খোলা থাকে। বুথে সরকার নির্ধারিত ইউজার ফি দিয়ে উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিরা নমুনা নিতে পারেন।

ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, লকডাউনের প্রথম ৫ দিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৫ জনের। তার মধ্যে ৬৯ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে ৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।

বুথের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর সমাজ কল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম খান নাঈম জানান, প্রতিদিন তারা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু এ পরিমাণ লোক এখনও আসছে না। যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে সেখানে আসছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রথম চার দিনের তুলনায় পঞ্চম দিনে নমুনা দিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি।

তিনি বলেন, লকডাউনের প্রথম দিন (৪ জুলাই) ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় দিন ৫ জুলাই ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১০ জনের। তৃতীয় দিন ৬ জুলাই নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ জনের। তার মধ্যে ৭ জনের ফল পজিটিভ এসেছে। চতুর্থ দিন ৭ জুলাই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে ৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। আর বুধবার (৮ জুলাই) সংগ্রহ করা হয়েছে ২৬ জনের।

এদিকে ওয়ারীতে সংক্রমণের হার দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডিএসসিসি মেয়র ও লকডাউন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) কমিটির সভা শেষে মেয়র গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, প্রথম তিন দিনে এলাকায় সংক্রমণের যে হার দেখেছি সেটা লকডাউনের যৌক্তিকতাকে আরও তুলে ধরেছে। আমরা দেখেছি নমুনা সংগ্রহের প্রায় ৫০ ভাগের বেশি মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তাই লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে। তাহলে আমরা এলাকাটাকে সংক্রমণ মুক্ত করতে পারবো। তারপর সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটা পালন করবো।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

‘ওড়না কোথায়’ বলে তরুণীকে হেনস্তা করা যুবক গ্রেপ্তার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায় ‘ওড়না কোথ...

চাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছ...

দুদকের নির্দেশে ৩৬ দিন পর মামলা নিল পুলিশ

অভিযোগ ওঠে ঝালকাঠির রাজাপুরে সোহাগ ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় জমজ দুই নবজাতকের মৃ...

জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে কেউ ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল না

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, চব্...

বাস কাউন্টার নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৬

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা