জেলা প্রতিনিধি: কনকনে শীত আর উত্তর-পশ্চিম হতে প্রবাহিত হিমেল হাওয়ায় জর্জরিত উত্তরের পঞ্চগড়ের সীমান্ত জেলার মানুষ। ৪ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে এই জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতের মধ্যে বৃষ্টির আভাস
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি বলেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি জানান- ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন,গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। আর দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকায় ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে ঢাকা দ্বিতীয়
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ১ জানুয়ারি (সোমবার) থেকেই দেশের উত্তরের জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এবং এর মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ একদিন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ৪ দিন রেকর্ড হয়েছে।
সীমান্ত জেলার বাসিন্দারা বলেন, এখানে দিনের বেলায় রোদ থাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের কারণে শীত তেমন একটা বোঝা যায় না। কিন্তু বেলা গড়ার সাথে সাথে বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাস। এ কারণে সন্ধ্যার পর শীতের তান্ডব বেশি এবং রাত বাড়তে থাকলে বরফ হয়ে উঠে রাত। ভোরে সূর্য উঠে রোদ ছড়ালেও কনকনে শীতে হাতপা অবশ হয়ে আসছে। রাতে খুব ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এজন্য শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, ক্রনিক শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সান নিউজ/এএন