নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সরকারি দুটি শতবর্ষী শিমুল গাছ বিক্রয় করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুপতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, কুপতলার বেড়াডাঙ্গা বাজারের পশ্চিম পাশে রেললাইনের খালের পাড় ধরে অধিকাংশ সরকারি খাস জমি। এ সরকারি জমির উপর থাকা কবর স্থানের শতবছর আগের দুটি শিমুল গাছ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তার ভাগনা মিজানুর ও গ্রাম পুলিশ আজহারের মাধ্যমে গাছ কাটার সরকারি অনুমতি থাকার কথা বলে গাছের ব্যাপারি সাকার কাছে বিক্রি করেন। পরে গ্রামবাসীর শত বাধা সত্ত্বেও গ্রাম পুলিশ নবাব আলী, ভুট্রু, স্বপন ও আজহার মিয়ার উপস্থিতিতে দিনের বেলায় প্রায় দুইশ বছরের পুরনো শিমুল গাছ দুটি কেটে ফেলা হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাপ-দাদার আমলের প্রাচীণ এই গাছগুলো এতদিন গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের শীতল ছায়া দিয়ে এসেছে। কিন্তু হটাৎ করে পার্শ্ববর্তী গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণের অজুহাতে দিনের বেলায় এতবড় দুটি সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রি করলো। অথচ তাদের গাছ কাটার কোন সরকারি অনুমতি পত্র নেই।
তারা আরও বলেন, গ্রাম পুলিশ উপস্থিত থেকে কিভাবে এতবড় অপরাধ করার সাহস পায়, তা তাদের বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে গাছের ব্যাপারি সাকা মিয়া জানান, চেয়ারম্যান এর ভাগনা মিজানুর ও গ্রাম পুলিশ আজহার তার কাছে ৩০ হাজার টাকায় দুটি শিমুল গাছ বিক্রি করেন। ওই গাছ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিনেছি। এটা সরকারি জমির গাছ কি-না তা আমার জানা নেই। তবে গাছ কাটার সরকারি অনুমতি আছে বলে আমাকে বলা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে কুপতলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, কুপতলা ইউনিয়নে সরকারি জায়গার প্রাচীণ দুটি শিমুল গাছ কাটা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাথে সাথেই স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করে গাছ কাটতে বাধা দেই। পরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে কথা বলে গ্রাম পুলিশের জিম্মায় গাছ দু’টি রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া সরকারি জমির এ গাছ ইউপি চেয়ারম্যান কিভাবে বিক্রয় করলেন আর গ্রাম পুলিশ উপস্থিত থেকে তা কিভাবে কাটলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমএল/কেটি