নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ : মুন্সিগঞ্জে জমে উঠেছে মিরকাদিম পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী (আর.এম.সি) অস্থায়ী পশুরহাট। হাটটি সরকারী বিধিনিষেধ এবং নির্দেশনা মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এ পশুরহাটে মিরকাদিমের ঐতিহ্য ধবল গরু ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভালো মানের কোরবানির পশু এখানে বিক্রির জন্য এসেছে। কালো, সাদাসহ বিভিন্ন রং এর বাহারি গরু রয়েছে এ পশুরহাটে। এখানে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, ফরিদপুর ও ইন্ডিয়ান জানের গরু রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই ) বিকাল ৪ টার দিকে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী মিরকাদিম পশুর হাটে বিভিন্ন গরু ও ছাগল রয়েছে। পশুর বেপারীরা খাওয়াচ্ছি তাদের পশু গুলো কে। আবার কেউ রং বা কালার অনুযায়ী দাম নিয়ে কথা বলছেন বেপারীদের সাথে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী থেকে আসা বেপারি রবিউল সান নিউজ কে বলেন, এ হাটে এর আগেও এসেছি। এবার ৭ টি গরু নিয়ে এসেছি। এগুলোর মধ্যে ২ টি ইন্ডিয়ান জাতের গরু, ২ টি দেশীয় জাতের গাভী ও ৩ টি ষাঁড় গরু রয়েছে। হাট এখনো ভালো করে জমে উঠেনি। তিনি আশা করছেন শনিবার থেকে জমবে উঠবে হাট । তার কাছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের নাখর বেপারী (৫৫) বলেন, এবার আমি এখানে প্রথম বার আসলাম। ১৭ টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে ২ টি গাভী রয়েছে বাদ বাকি সবগুলো ষাঁড় গরু। সবই দেশীয় জাতের গরু।
তিনি আরও বলেন, এ হাটটির অনেক সুনাম শুনেছি। এ হাটের ঐতিহ্য রয়েছে বলে এখানে আসলাম। সবাই আমার গরু দেখছেন আবার কেউ দামও বলছেন।
মিরকাদিম পৌর এলাকার আবুল হোসেন বলেন, একটি পছন্দের গরু কিনবো কোরবানির জন্য। দেখছি দুইটি গরু পছন্দ হয়েছে। দাম নিয়ে কথা বলছি। তবে এবার একটু দাম বেশী মনে হয় গরু। বাজেট মধ্যে গরু কিনতে চাই।
মিরকাদিম পশুরহাটের ইজারাদার মাসুদ রানা (পিন্টু) বলেন, মিরকাদিম পৌরসভার (আরএমসি) একটি ঐতিহ্যবাহী অস্থায়ী পশুর হাট। এখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বেপারিদের খাওয়া-থাকার শুব্যবস্থা রয়েছে। এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিচালনা করছি। মোটামুটি বিক্রি শুরু হয়েছে। আশা করি এবারো হাটটি জমবে।
সান নিউজ/এসএ